পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরমন্দিরে পণ্ডিত শশধর প্রভৃতি সঙ্গে ১১৫ । “শুধু জ্ঞানী একঘেয়ে,—কেবল বিচার কচ্চে এ নয় এ নয়,—এ সব স্বপ্লবৎ । আমি দু’হাত ছেড়ে দিয়েছি, তাই সব লই । । “একজন ব্যানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। ব্যান তখন স্থত কাটছিল,—নানা রকমের রেশমের স্থত। ব্যান তার ব্যানকে দেখে খুব আনন্দ করতে লাগলো ;—আর বললে—‘ব্যান, তুমি এসেছ বলে । আমার যে কি আনন্দ হয়েছে, তা বলতে পারি না,—যাই তোমার জন্য কিছু জল খাবার আনিগে । ব্যান জলখাবার আনতে গেছে ;– এদিকে নানা রঙের রেশমের সুতা দেখে এ ব্যানের লোভ হয়েছে । সে একতাড়া স্থত বগলে ক’রে লুকিয়ে ফেললে । ব্যান জলখাবার নিয়ে এলে ;–আর অতি উৎসাহের সহিত—জল খাওয়াতে লাগলে । কিন্তু সুতার দিকে দৃষ্টিপাত ক’রে বুঝতে পারলে যে, একতাড়া সুতো ব্যান সরিয়েছেন। তখন সে সুতোটা আদায় করবার একটা ফন্দী ঠাওরালে। “সে বলছে, ‘ব্যান, অনেক দিনের পর তোমার সহিত সাক্ষাৎ হ’লে । আজ ভারী আনন্দের দিন । আমার ভারী ইচ্ছা কচ্ছে যে দুজনে নৃত্য করি । সে বললে—‘ভাই, আমারও ভারী আনন্দ হয়েছে।’ তখন দুই ব্যানে নৃত্য করতে লাগলো। ব্যান দেখলে যে, ইনি বাহু না তুলে নৃত্য করছেন । তখন তিনি বললেন, ‘এস ব্যান ছ'হাত তুলে আমরা নাচি,—আজ ভারী আনন্দের দিন । কিন্তু তিনি এক হাতে বগল টিপে আর একটি হাত তুলে নাচতে লাগলেন । তখন ব্যান বললেন, ‘ব্যান ওকি! এক হাত তুলে নাচা কি, এস ছ'হাত তুলে নাচি । এই দেখ, আমি দু’হাত তুলে নাচছি। কিন্তু তিনি বগল টিপে হেসে হেসে এক হাত তুলেই নাচতে লাগলেন আর বললেন, যে যেমন জানে ব্যান ? “আমি বগলে হাত দিয়ে টিপি না,—আমি ছ'হাত ছেড়ে দিয়েছি,— । আমার ভয় নাই। তাই আমি নিত্যলীলা দুই লই ।”