পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৮ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ : [ ১৮৮৪, ৩০শে জুন সাকারবাদীরা খুব আসতো। তারপর ইদানীং ব্রহ্মজ্ঞানীরা আসূতে আরম্ভ করলে। তখন প্রায় ঐরুপ বেহুস হয়ে সমাধিস্থ হ’তাম— আর হুস হলেই বলতাম, মা আমায় ব্রহ্মজ্ঞান দিও না। - পণ্ডিত—আমরা বললে তিনি শুনবেন ? শ্রীরামকৃষ্ণ—ঈশ্বর কল্পতরু । যে যা চাইবে, তাই পাবে। কিন্তু কল্পতরুর কাছে থেকে চাইতে হয়, তবে কথা থাকে। “তবে একটি কথা আছে—তিনি ভাবগ্রাহী। যে যা মনে ক’রে সাধনা করে তার সেইরূপই হয় । যেমন ভাব তেমনি লাভ । একজন বাজীকর খেলা দেখাচ্ছে রাজার সামনে । আর মাঝে মাঝে বলছে রাজা টাকা দেও, কাপড় দেও। এমন সময়ে তার জিব তালুর মূলের কাছে উলটে গেল । অমনি কুম্ভক হ’য়ে গেল। আর কথা নাই, শব্দ নাই, স্পন্দ নাই ! তখন সকলে তাকে ইটের কবর তৈয়ার ক’রে সেই ভাবেই পুতে রাখলে ! হাজার বৎসর পরে সেই কবর কে খুঁড়েছিল। তখন লোকে দেখে যে একজন যেন সমাধিস্থ হয়ে বসে আছে । তারা তাকে সাধু মনে করে পূজা করতে লাগল। এমন সময় নাড়াচাড়া দিতে দিতে জিব তালু থেকে সরে এল। তখন তার চৈতন্য ইলো, আর সে চীৎকার করে বলতে লাগলো, লাগ ভেলকী লাগ | রাজা টাকা দেও, কাপড় দেও ! “আমি র্কাদতাম আর বলতাম, মা বিচার বুদ্ধিতে বজ্ৰাঘাত হ’ক ” পণ্ডিত—তবে আপনারও (বিচারবুদ্ধি) ছিল। । শ্রীরামকৃষ্ণ-ই, একবার ছিল। . পণ্ডিত—তবে বলে দিন, তাহলে আমাদেরও যাবে। আপনার কেমন ক’রে গেল ? শ্রীরামকৃষ্ণ—অমনি একরকম ক’রে গেল ।