পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ . [ ১৮৮৪, ৩০শে জুন | ভূধরের বড় ভাই বলিতেছেন, “আমাদের কি হবে –একটু বলে দিন আমাদের উপায় কি ?” - শ্রীরামকৃষ্ণ—তোমরা মুমুক্ষু, ব্যাকুলত থাকলেই ঈশ্বরকে পাওয়া যায়। শ্রাদ্ধের অন্ন খেও না । সংসারে নষ্ট স্ত্রীর মত থাকবে । নষ্ট স্ত্রী বাড়ির সব কাজ যেন খুব মন দিয়ে করে, কিন্তু তার মন উপপতির উপর রাত দিন পড়ে থাকে। সংসারের কাজ করো, কিন্তু মন সৰ্ব্বদ। ঈশ্বরের উপর রাখবে। - পণ্ডিত জল খাইতেছেন। ঠাকুর বলিতেছেন, আসনে বসে খাও। খাবার পর পণ্ডিতকে বলিতেছেন—“তুমি তো গীতা পড়েছ,— যাকে সকলে গণে মানে, তাতে ঈশ্বরের বিশেষ শক্তি আছে।” পণ্ডিত—যৎ যৎ বিভূতিমৎ সত্ত্বম্ শ্ৰীমদুর্জিতমেব বা— শ্রীরামকৃষ্ণ– তোমার ভিতর অবশ্য তার শক্তি আছে । পণ্ডিত—আজ্ঞা, যে ব্ৰত নিয়েছি অধ্যবসায়ের সহিত করবো কি ? ঠাকুর যেন উপরোধে পড়ে বলছেন, “ই হবে ।” তার পরেই অন্ত কথার দ্বারা ও কথা যেন চাপ দিলেন । শ্রীরামকৃষ্ণ-শক্তি মানতে হয় । বিদ্যাসাগর বললে, তিনি কি কারুকে বেশী শক্তি দিয়েছেন? আমি বললাম, তবে একজন লোক একশ’ জনকে মারতে পারে কেন ? কুইন ভিক্টোরিয়ার এত মান, নাম কেন—যদি শক্তি না থাকতো ? আমি বললাম, তুমি মানে কি না ? তখন বলে, “হা মানি । t পণ্ডিত বিদায় লইয়া গাত্ৰোখান করিলেন ও ঠাকুরকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। সঙ্গের বন্ধুরাও প্রণাম করিলেন। ঠাকুর বলিতেছেন, “আবার আসবেন, গাজাখোর গাজাখোরকে দেখলে আহলাদ করে-হয়তো তার সঙ্গে কোলাকুলি করে-অন্ত, ,媒