পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৪ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত –৩য় ভাগ [১৮৮৫, ৭ই ম৷ “যার এই ব্ৰহ্মজ্ঞান হয়েছে, সে জীবন্মুক্ত! সে ঠিক বুঝতে পা যে, আত্মা আলাদা আর দেহ আলাদা ভগবানকে দর্শন কয় দেহাত্মবুদ্ধি আর থাকে না ! ছুটি আলাদা। যেমন নারিকেলের ছ শুকিয়ে গেলে শাস আলাদা আর খোল আলাদা হয়ে যায়। আত্মা যেন দেহের ভিতর নড় নড় করে । তেমনি বিষয়বুদ্ধিরূপ জল শুকি গেলে আত্মজ্ঞান হয়। আত্মা আলাদা আর দেহ আলাদা বোধ হ: কাচা সুপারি বা কাঁচ বাদামের ভিতরের সুপারি বা বাদাম ছাল থে “কিন্তু পাকা অবস্থায় সুপারি বা বাদাম আলাদা-ও ছাল আলা। হয়ে যায়। পাকা অবস্থায় রস শুকিয়ে যায়। ব্রহ্মজ্ঞান হলে বিষয়র শুকিয়ে যায়। “কিন্তু সে জ্ঞান বড় কঠিন। বললেই ব্ৰহ্মজ্ঞান হয় না! কেউ জ্ঞানে ভান করে । ( সহাস্তে ) একজন বড় মিথ্যা কথা কইত, আবার এদি:ে বলত—আমার ব্রহ্মজ্ঞান হয়েছে। কোনও লোক তাকে তিরস্কার করা সে বললে, কেন জগৎ তো স্বপ্লবৎ, সবই যদি মিথ্যা হ’ল সত্য কথাটা কি ঠিক, মিথ্যাটাও মিথ্যা, সত্যটাও মিথ্যা !” ( সকলের হাস্য )।