পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্ধ্যা হইল। ঠাকুরবাড়িতে আরতির উদ্যোগ হইতেছে। এঁরামকৃষ্ণের জগন্মাতাকে প্রণাম করিয়া মুম্বরে নাম করিতেছেন। ঘরে আর কেহ । নাই। কেবল মাষ্টার বসিয়া আছেন। । ঠাকুর গাত্ৰোখান করিলেন। মাষ্টীরও দাড়াইলেন। ঠাকুর ঘরের । পশ্চিমের ও উত্তরের দরজা দেখাইয়া মাষ্টারকে বলিতেছেন, “ওদিকগুলো । (দরজাগুলি ) বন্ধ করে।” মাষ্টার দরজাগুলি বন্ধ করিয়া বারান্দায় । ঠাকুরের কাছে আসিয়া দাড়াইলেন। ঠাকুর বলিতেছেন, “একবার কালীঘরে যাব।” এই বলিয়া মাষ্টারের হাত ধরিয়া ও র্তাহার উপর ভর দিয়া কালীঘরের সম্মুখের চাতালে গিয়া । উপস্থিত হইলেন আর সেই স্থানে বসিলেন । বসিবার পূৰ্ব্বে বলিতেছেন “তুমি বরং ওকে ডেকে দাও।” মাষ্টার বাবুরামকে ডাকিয়া দিলেন। ঠাকুর মা কালী দর্শন করিয়া বৃহৎ উঠানের মধ্য দিয়া নিজের ঘরে ফিরিতেছেন। মুখে “মা ! মা ! রাজরাজেশ্বরী ” ঘরে আসিয়া ছোট খাটটিতে বসিলেন । ঠাকুরের একটি অদ্ভূত অবস্থা হইয়াছে। কোন ধাতু দ্রব্যে হাত দিতে পারিতেছেন না। বলিয়াছিলেন, মা, বুঝি ঐশ্বর্য্যের ব্যাপারটি মন থেকে একেবারে তুলে দিচ্ছেন!' এখন কলাপাতায় আহার করেন। মাটির ভীড়ে জল খান। গাড় ছুইতে পারেন না, তাই ভক্তদের মাটির ভাড় আনিতে বলিয়াছিলেন। গাড়তে বা থালায় হাত দিলে ঝানু । কনকল করে, যেন শিঙ্গি মাছের কাটা বিধছে। । ,