পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৪ খ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ [ ১৮৮৫, ৬ই এপ্রিল শ্রীরামকৃষ্ণ—ছোট নরেনের জন্য আর । বাবুরামের জন্য এলাম | পূর্ণকে কেন আনলে না ? । भाडेब्र-नडांच्च আসূতে চায় না, তার ভয় হয়, আপনি পাঁচ জনের সাক্ষাতে মুখ্যাতি করেন, পাছে বাড়িতে জানতে পারে । পণ্ডিতদের ও সাধুদের শিক্ষা ভিন্ন—সাধুসঙ্গ ] , স্ত্রীরামকৃষ্ণ - হুঁ, তা বটে। যদি বলে ফেলিত আর বলবো না। আচ্ছ, পূর্ণকে তুমি ধৰ্ম্মশিক্ষা দিচ্ছ, এ তে বেশ। । মাষ্টার—তা ছাড়া বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বইএতে (Selectionএ) ঐ কথাই * আছে, ঈশ্বরকে দেহ মন প্রাণ দিয়ে ভালবাসবে। এ কথা শেখালে কৰ্ত্তারা যদি রাগ করেন ত কি করা যায় ? শ্রীরামকৃষ্ণ-ওদের বইএতে অনেক কথা আছে বটে, কিন্তু যারা বই লিখেছে, তারা ধারণা কৰ্ত্তে পারে না । সাধুসঙ্গ হ’লে তবে ধারণা হয় । ঠিক ঠিক ত্যাগী সাধু যদি উপদেশ দেয়, তবেই লোকে সে কথা শুনে । শুধু পণ্ডিত যদি বই লিখে বা মুখে উপদেশ দেয়, সে কথা তত ধারণা হয় না। যার কাছে গুড়ের নাগরি আছে, সে যদি রোগীকে বলে, গুড় খেয়ো না, রোগী তার কথা তত শুনে না । “আচ্ছ, পূর্ণর অবস্থা কি রকম দেখছে ? ভাব-টবি কি হয় ?” মাষ্টার—কই ভাবের অবস্থা বাহিরে সে রকম দেখতে পাই না । একদিন আপনার সেই কথাটি তাকে বলেছিলাম। শ্রীরামকৃষ্ণ-কি কথাটি ? মাষ্ট্রর—সেই যে আপনি বলেছিলেন!—সামান্ত আঁধার হ'লে ভাব সম্বরণ করতে পারে না। বড় আধার হলে ভিতরে খুব ভাব হয় কিন্তু • “With all thy Soul love God above, And as thyself thy neighbour love.”