পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাহিরে প্রকাশ থাকে না। যেমন বলেছিলেন, সায়ের দীঘিতে হাতি । নামলে টের পাওয়া যায় না, কিন্তু ডোবাতে নামলে তোলপাড় হয়ে । শ্রীরামকৃষ্ণ—বাহিরে ভাব তার ত হবে না। তার আকর আলাদা । আর আর সব লক্ষণ ভাল। কি বলে ? মাষ্টার—চোখ দুটি বেশ উজ্জ্বল—যেন ঠেলে বেরিয়ে আসছে। । শ্রীরামকৃষ্ণ–চোখ দুটাে শুধু উজ্জ্বল হ’লে হয় না। তবে ঈশ্বরীয় চোখ আলাদা । আচ্ছা, তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলে, তারপর (ঠাকুরের সহিত দেখার পর ) কি রকম হয়েছে ? মাষ্টার—আজ্ঞে ই, কথা হয়েছিল। সে চার পাঁচ দিন ধরে বলছে, ঈশ্বর চিন্তা করতে গেলে, আর তার নাম করতে গেলে চোখ দিয়ে জল, রোমাঞ্চ এই সব হয়। শ্রীরামকৃষ্ণ—তবে আর কি ! ঠাকুর ও মাষ্টার চুপ করিয়া আছেন। কিয়ৎক্ষণ পরে মাষ্টার কথা কহিতেছেন। বলিতেছেন, সে দাড়িয়ে আছে— - শ্রীরামকৃষ্ণ—কে ? - .. মাষ্টার—পূর্ণ,—তার বাড়ির দরজার কাছে বোধ হয় দাড়িয়ে আছে । আমরা কেউ গেলে দৌড়ে আসবে, এসে আমাদের নমস্কার ক’রে যাবে । - শ্রীরামকৃষ্ণ—আহা ! আহা ! । - ঠাকুর তাকিয়ায় হেলান দিয়া বিশ্রাম করিতেছেন। মাষ্টারের সঙ্গে একটি দ্বাদশবর্ষীয় বালক আসিয়াছে, মাষ্টারের স্কুলে পড়ে, নাম ক্ষীরোদ। মাষ্টার বলিতেছেন, এই ছেলেটি বেশ ! ঈশ্বরের কথায় খুব আনন্দ । শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্তে )–চোখ দুটি যেন হরিণের মত । ।