পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ ঐত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ ( ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল তাকে পেতনীতে পেয়েছে —‘ওরে হারু কোথা গেল, ওরে হারু কোথ৷ গেল, আর হারু কোথা গেল। সবাই গিয়ে দেখে, হারু বটতলায় চুপ করে বসে আছে। সে রূপ নাই, সে তেজ নাই, সে আনন্দ নাই ! বটগাছের পেতনীতে হারুকে পেয়েছে। “স্ত্রী যদি বলে যাও তো একবার,—অমনি উঠে দাড়ায়, ব’লে তো—অমনি বসে পড়ে ! “একজন উমেদার বড়বাবুর কাছে আনাগোনা করে হায়রান হয়েছে। কৰ্ম্ম আর হয় না। আফিসের বড়বাবু। তিনি বলেন, এখন খালি নাই, মাঝে মাঝে এসে দেখা করে । এইরূপে কতকাল কেটে গেল,—উমেদার হতাশ হ’য়ে গেল । সে একজন বন্ধুর কাছে দুঃখ করছে । বন্ধু বললে, তোর যেমন বুদ্ধি —ওটার কাছে আনাগোন ক’রে পায়ের রাধন ছেড়া কেন ? তুই গোলাপকে ধর, কালই তোর কৰ্ম্ম হবে। উমেদার বললে, বটে —আমি এক্ষণি চললুম। গোলাপ বড়বাবুর রাড়। উমেদার দেখা ক'রে বললে, মা, তুমি এটি না করলে হবে না- আমি মহা বিপদে পড়েছি। ব্রাহ্মণের ছেলে আর কোথায় যাই । মা, অনেকদিন কাজ কৰ্ম্ম নাই, ছেলেপুলে না খেতে পেয়ে মারা যায়। তুমি একটি কথা বলে দিলেই আমার একটি কাজ হয়। গোলাপ ব্রাহ্মণের ছেলেকে বললে, বাছা কাকে বললে হয় ? আর ভাবতে লাগলো, আহা ব্রাহ্মণের ছেলে বড় কষ্ট পাচ্ছে। উমেদার বললে, বড়বাবুকে একটি কথা বললে আমার নিশ্চয় একটি কৰ্ম্ম হয় । গোলাপ বললে, আমি আজই বড়বাবুকে বলে ঠিক ক’রে রাখব। তার পরদিন সকালে উমেদারের কাছে একটি লোক গিয়ে উপস্থিত, সে বললে, তুমি আজ থেকেই বড়বাবুর অফিসে বেরুবে । বড়বাবু সাহেবকে

  • * *

, , \ أي"