পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে গিরিশ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ১১ : গিরিশ (সহন্তে)-তিনি বুৰি বলেন সাধন করলে ঐকৃষ্ণের মত । গ্রীরামকৃষ্ণ—ঠিক তা নয়,—তবে আভাসটা ঐ রকম। । ভক্ত-আজ্ঞা, শ্ৰীকৃষ্ণের মত সবাই কি হতে পারে , স্ত্রীরামকৃষ্ণ-অবতার বা অবতারের অংশ, এদের বলে ঈশ্বরকোটি, আর সাধারণ লোকদের বলে জীব বা জীবকোটি। যারা জীবকোট তারা সাধন করে ঈশ্বর লাভ করতে পারে ; তারা সমাধিস্থ হয়ে আর ফেরে না । “যারা ঈশ্বরকোটি—তারা যেন রাজার বেটা ; সাত তলার চাবি তাদের হাতে। তারা সাত তলায় উঠে যায়, আবার ইচ্ছামতো নেমে আসতে পারে। জীবকোটি যেমন ছোট কৰ্ম্মচারী, সাততলা বাড়ির খানিকটা যেতে পারে ঐ পর্য্যন্ত । [ জ্ঞান ও ভক্তির সমন্বয় ] “জনক জ্ঞানী, সাধন করে জ্ঞান লাভ করেছিল ; শুকদেব জ্ঞানের মূৰ্ত্তি ।” গিরিশ—আহা ! J歐 ত্রীরামকৃষ্ণ—সাধন করে শুকদেবের জ্ঞান লাভ করতে হয় নাই। নারদেরও শুকদেবের মত ব্ৰহ্মজ্ঞান ছিল, কিন্তু ভক্তি নিয়ে ছিলেন— লোক শিক্ষার জন্য। প্রহ্লাদ কখনও সোহহং ভাবে থাকতেন, কখনও দাস ভাবে—সন্তান ভাবে । হকুমানেরও ঐ অবস্থা । ** “মনে করলে সকলেরই এই অবস্থা হয় না । কোনও বাঁশের বেশী খোল, কোনও বাঁশের ফুটে ছোট ।” ৩য়-১৪ ।