পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে গিরিশ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ২১৫ শ্রীরামকৃষ্ণ (ছোকরা ভক্তটির প্রতি )—এখানে এস । গিরিশ (মষ্টারের প্রতি )—কে এ ছেলেটি t মাষ্টার (বিরক্ত হইয়া )-ছেলে আর কে ? fift- (*isitor)—It needs no ghost to tell me that. মাষ্টারের ভয় হইয়াছে পাছে পাঁচ জনে জানিতে পারিলে ছেলের বাড়িতে গোলযোগ হয় আর তাহার নামে দোষ হয় । ছেলেটির সঙ্গে ঠাকুরও সেইজন্য আস্তে আস্তে কথা কহিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ—সে সব করো ?—যা ব’লে দিছিলাম ? ছেলেটি—আজ্ঞা, হা । শ্রীরামকৃষ্ণ—স্বপনে কিছু দেখে —আগুন-শিখ, মশালের আলো? সধবা মেয়ে –শ্বশান-মশান ? এ সব দেখা বড় ভাল । ছেলেটি—আপনাকে দেখেছি—বসে আছেন—কি বলছেন। স্ত্রীরামকৃষ্ণ—কি—উপদেশ ?—কই, একটা বল দেখি । ছেলেটি—মনে নাই । শ্রীরামকৃষ্ণ—তা হোক,—ও খুব ভাল –তোমার উন্নতি হবে— আমার উপর ত টান আছে ? কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর বলিতেছেন—“কই সেখানে যাবে না” – অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বরে । ছেলেটি বলিতেছে, “তা বলতে পারি না।” শ্রীরামকৃষ্ণ—কেন,—সেখানে তোমার আত্মীয় কে আছে না ? ' ' ছেলেটি—আজ্ঞা হা, কিন্তু সেখানে যাবার সুবিধা হবে না । গিরিশ কেশবচরিত পড়িতেছেন। ব্রাহ্মসমাজের শ্রীযুক্ত ত্ৰৈলোক্য শ্ৰীযুক্ত কেশব সেনের ঐ জীবনচরিত লিখিয়াছেন। ঐ পুস্তকে লেখা আছে যে পরমহংসদেব আগে সংসারের উপর বর বিরক্ত ছিলেন, কিন্তু কেশবের সহিত দেখাশুনা হবার পরে তিনি মত বদলাইয়াছেন,—এখন ~