পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

沪 ২২২ ঐশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ ( ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল ত্ৰৈলোক্য-সংসারে থাকতে গেলে টাকাও ত চাই, সঞ্চয় চাই। পাঁচটা দান ধ্যান— - শ্রীরামকৃষ্ণ—কি, আগে টাকা সঞ্চয় ক’রে তবে ঈশ্বর । আর দান ধ্যান দয়া কত ! নিজের মেয়ের বিয়েতে হাজার হাজার টাকা খরচ —আর পাশের বাড়িতে খেতে পাচ্ছে না। তাদের ছুটি চাল দিতে কষ্ট হয়—অনেক হিসেব ক’রে দিতে হয়। খেতে পাচ্ছে না লোকে,— তা আর কি হবে, ও শালার মরুক আর বঁাচুক,—আমি আর আমার বাড়ির সকলে ভাল থাকলেই হলো । মুখে বলে সৰ্ব্বজীবে দয়া ! ত্ৰৈলোক্য–সংসারে ত ভাল লোক আছে,—পুণ্ডরীক বিদ্যানিধি, চৈতন্ঠ দেবের ভক্ত। তিনি ত সংসারে ছিলেন । শ্রীরামকৃষ্ণ—তার গলা পৰ্য্যন্ত মদ খাওয়া ছিল, যদি আর একটু খেত তা হ’লে আর সংসার করতে পারত না । ত্ৰৈলোক্য চুপ করিয়া রইলেন । মাষ্টার গিরিশকে জনাস্তিকে বলিতেছেন, তা হ’লে উনি যা লিখেছেন ঠিক নয়। গিরিশ–তা হ’লে আপনি যা লিখেছেন ওকথা ঠিক না ? ত্ৰৈলোক্য—কেন, সংসারে ধৰ্ম্ম হয় উনি কি মানেন না ? শ্রীরামকৃষ্ণ—হয়,- কিন্তু জ্ঞান লাভ করে থাকতে হয়,-ভগবানকে লাভ করে থাকতে হয়। তখন কলঙ্ক সাগরে ভাসে, তবু কলঙ্ক না লাগে গায় ? তখন পাকাল মাছের মত থাকতে পারে । ঈশ্বর লাভের পর যে সংসার সে বিদ্যার সংসার। কামিনী-কাঞ্চন তাতে নাই, কেবল ভক্তি ভক্ত আর ভগবান। আমারও মাগ আছে,—ঘরে ঘটি বাটিও আছে,-হরে প্যালাদের খাইয়ে দিই, আবার যখন হাবীর মা এর আসে এদের জন্যও ভাবি ।