পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভক্ত (সহাস্তে )—মহাশয়, আপনাকে আমীর ঠাওরেছে; আপনি । gাকিয়া ঠেসান দিয়া বসিয়া আছেন—(সকলের হাস্য )। । গ্রীরামকৃষ্ণ (হাসিয়া )—ব্যারাম হয়েছে, ভাবতে পারে। হাজরার অহঙ্কারের কথা উঠিল। কোনও কারণে দক্ষিণেশ্বরের কলিবাটী ত্যাগ করিয়া হাজারার চলিয়া আসিতে হইয়াছিল। নরেন্দ্ৰ—হাজরা এখন মানছে, তার অহঙ্কার হয়েছিল। স্ত্রীরামকৃষ্ণ—ও কথা বিশ্বাস ক’রো না । দক্ষিণেশ্বরে আবার আসবার জন্য ওরূপ কথা বলছে । ( ভক্তদিগকে ) নরেন্দ্র কেবল বলে ‘হাজরা খুব লোক । নরেন্দ্ৰ—এখনও বলি । g- so শ্রীরামকৃষ্ণ-কেন ? এত সব শুনলি । নরেন্দ্ৰ—দোষ একটু,—কিন্তু গুণ অনেকটা । 飆 শ্রীরামকৃষ্ণ—নিষ্ঠা আছে বটে। “সে অামায় বলে, এখন তোমার আমাকে ভাল লাগছে না,–কিন্তু পরে আমাকে তোমার খুজতে হবে। শ্রীরামপুর থেকে একটি গোসাই এসেছিল, অদ্বৈত বংশ । ইচ্ছা, ওখানে একরাত্রি 'রাত্রি থাকে। আমি যত্ন ক'রে তাকে থাকতে বললুম। হাজরা বলে কি, খাজাঞ্চির কাছে ওকে পাঠাও । এ কথার মানে এই যে, দুধটুধ পাছে চায়, তা হ’লে হাজরার ভাগ থেকে কিছু দিতে হয়। আমি বললুম,—তবে রে শালা ! গোসাই ব’লে আমি ওর কাছে সাষ্টাঙ্গ হই, আর তুই সংসারে থেকে কামিনী-কাঞ্চন লয়ে নানা কাণ্ড ক’রে—এখন একটু জপ ক’রে এত অহঙ্কার হয়েছে ! লাজ করে না ! “সত্ত্বগুণে ঈশ্বরকে পাওয়া যায়, রজঃ তমোগুণে ঈশ্বর থেকে তুফাৎ করে। সত্ত্বগুণকে সাদা রঙের সঙ্গে উপমা দিয়েছে, রজোগুণকে