পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩০ স্ত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ [ ১৮৮৫, ৯ই মে লাল রঙের সঙ্গে, আর তমোগুণকে কাল রঙের সঙ্গে। আমি একদিন হাজরাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি বলে কার কত সত্ত্বগুণ হয়েছে। সে বললে, 'নরেন্দ্রের ষোল আনা ; আর আমার একটাকা দুই আন৷ ” জিজ্ঞাসা করলাম, আমার কত হয়েছে ? তা বললে, তোমার এখনও লালচে মারছে,—তোমার বার আনা । ( সকলের হাস্ত ) ৷ “দক্ষিণেশ্বরে বসে হাজরা জপ করতো। আবার ওরই ভিতর থেকে দালালীর চেষ্টা করতো ! বাড়িতে কয় হাজার টাকা দেন আছে—সেই দেন শুধতে হবে । রাধুনী বামুনদের কথায় বলেছিল, ও সব লোকের সঙ্গে আমরা কি কথা কই !” [ কামনা ঈশ্বর লাভের বিপ্ল—ঈশ্বর বালকস্বভাব ]

  • “কি জান, একটু কামনা থাকলে ভগবানকে পাওয়া যায় না। ধৰ্ম্মের সূক্ষ্মা গতি ! ছুচে সূতা পরাচ্ছ—কিন্তু সূতার ভিতর একটু আঁস থাকলে ছু চের ভেতর প্রবেশ করবে না ।

“ত্রিশ বছর মালা জপে, তবু কেন কিছু হয় না ? ডাকুর ঘা হ’লে ঘুটের ভাবর দিতে হয়। না হ’লে শুধু ঔষধে আরাম হয় না। “কামনা থাকতে, যত সাধন কর না কেন, সিদ্ধিলাভ হয় না। তবে একটি কথা আছে— ঈশ্বরের কৃপা হ’লে, ঈশ্বরের দয়া হ’লে, একক্ষণে সিদ্ধিলাভ করতে পারে । যেমন হাজার বছরের অন্ধকার ঘর, হঠাৎ কেউ যদি প্রদীপ আনে, তা হ’লে একক্ষণে আলো হয়ে যায় ! “গরীবের ছেলে বড় মানুষের চোখে পড়ে গেছে। তার মেয়ের সঙ্গে তাকে বিয়ে দিলে । অমনি গাড়িঘোড়া, দাসদাসী, পোষাক, আসবাব, বাড়ি সব হয়ে গেল !” একজন ভক্ত—মহাশয়, কৃপা কিরূপে হয় ? ।