পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাই আছে! প্রতিবিম্ব স্বৰ্য না থাকলে সত্যসূৰ্য্য আছে কি ক’রে জানবে! সমাধিস্থ হলে অহং তত্ত্ব নাশ হয়। সমাধিস্থ ব্যক্তি লয় এলে কি দেখেছে মুখে বলতে পারে না । অনেকক্ষণ সন্ধ্যা হইয়া গিয়াছে। বলরামের বৈঠকখানায় দীপালs জ্বলিতেছে । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এখনও ভাবস্থ, ভক্তজন পরিবুত হইয় আছেন । ভাবে বলিতেছেন— “এখানে আর কেউ নাই, তাই তোমাদের বলছি,—আন্তরিক ঈশ্বরকে যে জানতে চাইবে তারই হবে, হবেই হবে! যে ব্যাকুল ঈশ্বর বই আর কিছু চায় না, ভারই হবে। “এখানকার যারা লোক ( অন্তরঙ্গ ভক্তেরা ) তারা সব জুটে গেছে। আর সব এখন যারা যাবে তারা বাহিরের লোক । তারাও এখন মাঝে মাঝে যাবে। ( মা ) তাদের বলে দেবে, ‘এই ক'রো, এই রকম ক’রে ঈশ্বরকে ডাকো । [ ঈশ্বরই গুরু—জীবের একমাত্র মুক্তির উপায় ] “কেন ঈশ্বরের দিকে (জীবের) মন যায় না ? ঈশ্বরের চেয়ে তার (মহামায়ার ) আবার জোর বেশী। জজের চেয়ে প্যায়দার ক্ষমতা বেশী । ( সকলের হাস্য )। “নারদকে রাম বললেন, নারদ আমি তোমার স্তবে বড় প্রসন্ন হয়েছি ; আমার কাছে কিছু বর লও! নারদ বললেন, রাম ! তোমার