পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

... .", i. লি তছেন, একটু জল খাবো । নি করিয়া মশলার বেটুয়া হইতে কিছু মশলা লইলেন। মাষ্টারকে বেটুয়াটি বন্ধ করিতে বলিলেন । কীৰ্ত্তন হইতেছে। খোলের আওয়াজে ঠাকুরের ভাব হইতেছে। ০৯রচদিকা শুনিতে শুনিতে একেবারে সমাধিস্থ। কাছে নিত্যগোপাল ছিলেন, তাহার কোলে পা ছড়াইয়া দিলেন। নিত্যগোপালও ভাবে

  1. দিতেছেন। ভক্তেরা সকলে অবাক হইয়া সেই সমাধি অবস্থা একদৃষ্টে দেখিতেছেন ।

[Yoga, Subjective and Objective. Identity of God (the Absolute) the soul and the 3) Cosmos ( sole, ) | ঠাকুর একটু প্রকৃতিস্থ হইয়া কথা কহিতেছেন—“নিত্য থেকে । লীলা, লীলা থেকে নিত্য । ( নিত্যগোপালের প্রতি ) তোর কি ?” নিত্য ( বিনীত ভাবে )—দুইই ভালো । শ্রীরামকৃষ্ণ চোখ বুজিয়া বলিতেছেন,—কেবল এমনটা কি ? চোখ বুজলেই তিনি আছেন, আর চোখ চাইলেই নাই! যারই নিত্য, তারই লীলা, যারই লীলা তারই নিত্য । শ্রীরামকৃষ্ণ ( মহিমার প্রতি )—তোমায় বাপু একবার বলি– মহিমাচরণ—আজ্ঞ, দুইই ঈশ্বরের ইচ্ছা । শ্রীরামকৃষ্ণ – কেউ সাত তলার উপরে উঠে আর নামতে পারে না, আবার কেউ উঠে নীচে আনাগোনা করতে পারে। “উদ্ধব গোপীদের বলেছিলেন, তোমরা যাকে তোমাদের কৃষ্ণ বলছ, তিনি সৰ্ব্বভূতে আছেন, তিনিই জীব জগৎ হয়ে রয়েছেন। “তাই বলি চোখ বুজলেই ধ্যান, চোখ খুললে আর কিছু নাই ?”