পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| * . . . . o . * -- দক্ষিণেশ্বরে পণ্ডিতজী, কাপ্তেন, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ২৫৫ ঠাকুর অবশেষে বরফ খাইলেন না। স্ত্রীরামকৃষ্ণ—শুচি অশুচি—এটি ভক্তি ভক্তের পক্ষে। জ্ঞানীর । মক্ষে নয়। বিজয়ের শাশুড়ি বললে, “কই আমার কি হয়েছে ? এখনও সকলের খেতে পারি না! আমি বললাম, সকলের খেলেই কি জ্ঞান হয় ? কুকুর যা তা খায়, তাই ব’লে কি কুকুর জ্ঞানী ? : ( মাষ্টারের প্রতি )—“আমি পাঁচ ব্যান্নন দিয়ে খাই কেন ? পাছে একঘেয়ে হ’লে এদের ( ভক্তদের ) ছেড়ে দিতে হয় । “কেশব সেনকে বললাম, আরও এগিয়ে কথা বললে তোমার দলটল থাকে না ! “জ্ঞানীর অবস্থায় দলটল মিথ্যা—স্বপ্লবৎ । “মাছ ছেড়ে দিলাম। প্রথম প্রথম কষ্ট হ’তো, পরে তত কষ্ট হ’তে না। পাখির বাসা তদি কেউ পুড়িয়ে দেয়, সে উড়ে উড়ে বেড়ায় আকাশ আশ্রয় করে ৷ দেহ, জগৎ—যদি ঠিক মিথ্য বোধ হয়, তা হ'লে আত্মা সমাধিস্থ হয় । “আগে ঐ জ্ঞানীর অবস্থা ছিল । লোক ভাল লাগতো না। হাটখোলায় অমুক একটি জ্ঞানী আছে, কি একটি ভক্ত আছে, এই শুনলাম ; আবার কিছুদিন পরে শুনলাম, ঐ সে মরে গেছে ! তাই আর লোক ভাল লাগতো না । তার পর তিনি ( মা ) মনকে নামালেন, ভক্তি-ভক্ততে মন রাখিয়ে দিলেন।” মাষ্টার অবাক, ঠাকুরের অবস্থা পরিবর্তনের বিষয় শুনিতেছেন। এইবার ঈশ্বর মানুষ হয়ে কেন অবতার হন, তাই ঠাকুর বলিতেছেন। [ অবতার বা নরলীলার গুহা অর্থ—দ্বিজ ও পুৰ্ব্বসংস্কার ] শ্রীরামকৃষ্ণ ( মাষ্টারের প্রতি )—মনুষ্যলীলা কেন জান ? এর