পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে পণ্ডিতজী, কাপ্তেন, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ২৫৯ ৷ “তখন কাপ্তেন বলে, ই, তা ও বাৎ ঠিক হয়। তার পরে আমি বললাম, এই তুমি বললে, সব পুরুষ রামের অংশে রাম, সব স্ত্রী সীতার অংশে সীতা, আবার এখন এমন কথা বলছ! “কাপ্তেন বললে, তা তো,—কিন্তু তুমি সকলকে তো ভালবাস Fill! - “আমি বললাম, ‘আপো নারায়ণ, সবই জল, কিন্তু কোনও জল খাওয়া যায়, কোনটিতে নাওয়া যায়, কোনও জলে শৌচ করা যায়। এই যে তোমার মাগ মেয়ে বসে আছে, আমি দেখছি সাক্ষাৎ আনন্দময়ী ! কাপ্তেন তখন বলতে লাগল, “হা, হা, ও ঠিক হায়’ ! তখন আবার আমার পায়ে ধরতে যায় ।” M এই বলিয়া ঠাকুর হাসিতে লাগিলেন । এইবার ঠাকুর কাপ্তেনের কত গুণ, তাহা বলিতেছেন । д শ্রীরামকৃষ্ণ–কাপ্তেনের অনেক গুণ ৷ রোজ নিত্যকৰ্ম্ম,–নিজে ঠাকুর পূজা,— স্বানের মন্ত্রই কত! কাপ্তেন খুব একজন কৰ্ম্ম,—পূজা, জপ, আরতি, পাঠ, স্তব, এ সব নিত্যকৰ্ম্ম করে। [ কাপ্তেন ও পাণ্ডিত্য–কাপ্তেন ও ঠাকুরের অবস্থা ] “আমি কাপ্তেনকে বকৃতে লাগলাম ; বললাম, তুমি পড়েই সব খারাপ করেছ। আর পোড়ো না ! “আমার অবস্থা কাপ্তেন বললে, উদীয়মান ভাব । জীবাত্মা আর পরমাত্মা ; জীবাত্মা যেন একটা পাখি, আর পরমাত্মা যেন আকাশ— চিদাকাশ। কাপ্তেন বললে, “তোমার জীবাত্মা চিদাকাশে উড়ে যায়, –তাই সমাধি’ ; ( সহাস্তে ) কাপ্তেন বাঙ্গালীদের নিন্দ করলে। বললে, বাঙ্গালীরা নিৰ্ব্বোধ ! কাছে মাণিক রয়েছে চিনলে না!