পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে পণ্ডিতজী, কাপ্তেন, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ।

鲇 * so I পাকা-আমি বা দাস-২ t ལྦེ་ )

পূজা, কত রকম खांडि ! o কাপ্তেন (সলজভাবে)—আমি কি পূজা-আরতি করবো । স্ত্রীরামকৃষ্ণ—যে ‘আমি কামিনী-কাঞ্চনে আসক্ত, সেই আমিতেই দোষ । আমি ঈশ্বরের দাস, এ আমিতে দোষ নাই। আর বালকের আমি,—বালক কোনও গুণের বশ নয়। এই ঝগড়া করছে, আবার ভাব ! এই খেলা-ঘর করলে কত যত্ন ক'রে, আবার তৎক্ষণাৎ ভেঙ্গে ফেললে ! দাস আমি—বালকের আমি, এতে কোনও দোষ নাই। এ আমি আমির মধ্যে নয়, যেমন মিছরি মিষ্টের মধ্যে নয় । অন্য মিষ্টতে অসুখ করে, কিন্তু মিছরিতে বরং আমুনশি হয়। আর যেমন ওঁকার শব্দের মধ্যে নয় । “এই অহং দিয়ে সচ্চিদানন্দকে ভালবাসা যায়। অহং তো যাবে না—তাই ‘দাস আমি’ ‘ভক্তের আমি । তা না হ'লে মানুষ কি লয়ে থাকে । গোপীদের কি ভালবাসা ! ( কাণ্ডেনের প্রতি ) তুমি গোপীদের কথা কিছু বল। তুমি অত ভাগবত পড়ে৷ ” কাপ্তেন—যখন শ্ৰীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে আছেন, কোন ঐশ্বৰ্য্য নাই, তখনও গোপীরা তাকে প্রাণাপেক্ষ ভাল বেসেছিলেন । তাই কৃষ্ণ বলেছিলেন আমি তাদের ঋণ কেমন করে শুধব ? যে গোপীরা আমার প্রতি সব সমর্পণ করেছে,—দেহ, – মন,—চিত্ত । শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবে বিভোর হইতেছেন। গোবিন্দ ! গোবিন্দ ? ‘গোবিন্দ P এই কথা বলিতে বলিতে আবিষ্ট হইতেছেন! প্রায় বাহশূন্য। কাপ্তেন সবিস্ময়ে বলিতেছেন, ‘ধৰ্ম্ম! ধন্ত ! • কাপ্তেন ও সমবেত ভক্তগণ ঠাকুরের এই অদ্ভূত প্রেমাবস্থা