পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থাক -যেমন দাস। প্রহ্নাদ দুই ভাবে থাকতেন, কখনও বোধ করতেন ‘তুমিই আমি ‘আমিই তুমি—সোহহং । আবার যখন অহং বুদ্ধি আসত, তখন দেখতেন, আমি দাস তুমি প্রভু! একবার পাকা “সাহহং” হ’লে পরে, তার পর দাস-ভাবে থাক। যেমন আমি দাস । [ ব্ৰহ্মজ্ঞানের লক্ষণ—ভক্তের আমি—কৰ্ম্মত্যাগ ] (কাপ্তেনের প্রতি )–“ব্ৰহ্মজ্ঞান হ'লে কতকগুলি লক্ষণে বুঝা যায়। শ্রীমৎভাগবতে জ্ঞানীর চারটি অবস্থার কথা আছে—(১) বালকবৎ, (২) জড়বৎ, (৩) উন্মাদবৎ, (৪) পিশাচবৎ । পাঁচ বছরের বালকের অবস্থা হয় । আবার কখনও পাগলের মতন ব্যবহার করে । “কখনও জড়ের ন্যায় থাকে। এ অবস্থায় কৰ্ম্ম করতে পারে না, কৰ্ম্মত্যাগ হয়। তবে যদি বলে জনকাদি কৰ্ম্ম করেছিলেন ; তা কি জান, তখনকার লোক কৰ্ম্মচারীদের উপর ভার দিয়ে নিশ্চিন্ত হ’ত । আর তখনকার লোকও খুব বিশ্বাসী ছিল ।” শ্রীরামকৃষ্ণ কৰ্ম্মত্যাগের কথা বলিতেছেন, আবার যাহাদের কৰ্ম্মে আসক্তি আছে, তাহাদের অনাসক্ত হয়ে কৰ্ম্ম করতে বলছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ—জ্ঞান হ'লে বেশী কৰ্ম্ম করতে পারে না । ত্ৰৈলোক্য—কেন ? পাওহারি বাবা এমন যোগী কিন্তু লোকের ঝগড়া-বিবাদ মিটিয়ে দেন,—এমন কি মোকৰ্দমা নিম্পত্তি করেন । স্ত্রীরামকৃষ্ণ-ই, হঁ,-তা বটে। দুর্গাচরণ ডাক্তার এতো মাতাল, চব্বিশ ঘণ্টা মদ খেয়ে থাকত, কিন্তু কাজের বেলা ঠিক,—চিকিৎস করবার সময় কোনও রূপ ভুল হবে না । ভক্তি লাভ করে কৰ্ম্ম করলে দোষ নাই। কিন্তু বড় কঠিন, খুব তপস্যা চাই ! “ঈশ্বরই সব করছেন, আমরা যন্ত্র স্বরূপ । কালী ঘরের সামনে {