পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতায় স্যামপুকুর বাটতে ভক্তসঙ্গে স্ত্রীরামকৃষ্ণ ৩৩১ । শ্রীরামকৃষ্ণ–আচ্ছ, এরা যে সব একাসনে চুপ ক'রে বসে আছে, আর আমায় ছাখে–কথা নাই, গান নাই ; এতে কি দ্যাখে ? ঠাকুর কি ইঙ্গিত করিতেছেন যে, সাক্ষাৎ ঈশ্বরের শক্তি অবতীর্ণ তাই এত লোকের আকর্ষণ, তাই ভক্তেরা অবাক হইয়া তাহার দিকে তাকাইয়া থাকে ! o মাষ্টার উত্তর করিলেন—অজ্ঞে, এরা সব আপনার কথা অনেক আগে শুনেছে, আর দ্যাখে—যা কখনও ওরা দেখতে পায় না—সদানন্দ বালক-স্বভাব, নিরহঙ্কার, ঈশ্বরের প্রেমে মাতোয়ারা ! সেদিন ঈশান মুখুজ্যের বাড়ি আপনি গিয়েছিলেন ; সেই বাহিরের ঘরে পায়চারি কচ্ছিলেন ; আমরাও ছিলাম, একজন আপনাকে এসে বললে, এমন ‘সদানন্দ পুরুষ’ কোথাও দেখি নাই। মাষ্টার আবার চুপ করিয়া রহিলেন । ঘর আবার নিস্তব্ধ ! কিয়ৎকাল পরে ঠাকুর আবার মৃত্যুস্বরে মাষ্টারকে কি বলিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ–আচ্ছা, ডাক্তারের কি রকম হচ্ছে ? এখানকার কথা সব কি বেশ নিচ্ছে ? - মাষ্টার—এ আমোঘ বীজ কোথায় যাবে, একবার না একবার একদিক দিয়ে বেরোবে। সেদিনকার একটা কথায় হাসি পাচ্ছে । শ্রীরামকৃষ্ণ—কি কথা ? মাষ্টার—সেদিন বলেছিলেন, যত্ন মল্লিকের খাবার সময় কোন ব্যঞ্জনে তুন হয়েছে, কোন ব্যঞ্জনে হয় নি এ বুঝতে পারে না ; এত অন্যমনস্ক ! কেউ যদি বলে দেয় এ ব্যঞ্জনে ‘কুন হয় নাই’ তখন এ্যা এ্যা করে বলে, ‘তুন হয় নাই ? ডাক্তারকে এই কথাটি শোনাচ্ছিলেন। তিনি বলছিলেন কিনা যে, আমি এত অন্তমনস্ক হ’য়ে যাই । আপনি বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন যে, সে বিষয় চিন্তা করে অন্যমনস্ক, ঈশ্বরচিন্তা করে নয়।