পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠাকুর সেই উপরের ঘরে ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন ; বেলা ১০টা। বিছানার উপর বালিশে ঠেসাম দিয়া আছেন, ভক্তের চতুর্দিকে । বসিয়া। রাম, রাখাল, নিরঞ্জন, কালিপদ, মাষ্টার প্রভৃতি অনেকগুলি ভক্ত আছেন। ঠাকুরের ভাগিনেয় হৃদয় মুখুয্যের কথা হইতেছে। স্ত্রীরামকৃষ্ণ (রাম প্রভৃতিকে )–হৃদে এখনও জমি জমি করছে। যখন দক্ষিণেশ্বরে তখন বলেছিল, শাল দাও, না হ’লে নালিশ করবো । “মা তাকে সরিয়ে দিলেন । লোকজন গেলে কেবল টাকা টাকা করতো। সে যদি থাকত এ সব লোক যেত না । মা সরিয়ে দিলেন । “গো—অমনি আরম্ভ করেছিল। খুতখুত করতো। গাড়িতে আমার সঙ্গে যাবে তা দেরি করতো । অন্য ছোকরারা আমার কাছে এলে বিরক্ত হ’ত । তাদের যদি আমি কলকাতায় দেখতে যেতাম— আমায় বলতো, ওরা কি সংসার ছেড়ে আসবে তাই দেখতে যাবেন ! জল-খাবার ছোকরাদের দেওয়ার আগে ভয়ে বলতুম, তুই খা আর ওদের দে। জানতে পারলুম, ও থাকবে না। “তখন মাকে বললাম—ম ওকে হৃদের মতো একেবারে সরাস্ নে । তার পর শুনলাম, বৃন্দাবনে যাবে। “গো— যদি থাকতো এই সব ছোকরাদের হত না । ও বৃন্দাবনে চলে গেল তাই এ সব ছোকরার আসতে যেতে লাগল।” । গো ( বিনীতভাবে )—আজ্ঞে, আমার তা মনে ছিল না। রাম ( দত্ত )—তোমার মন উনি যা বুঝবেন তা তুমি বুঝবে? ৩য়—২২ *. Q