পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীপুর বাগানে সাঙ্গোপাঙ্গসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ రిసి কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর আবার কথা কহিতেছেন— “তিনি মানুষ হয়ে–অবতার হয়ে-ভক্তদের সঙ্গে আসেন। ভক্তেরা তারই সঙ্গে আবার চলে যায়।” রাখাল—তাই আমাদের আপনি যেন ফেলে না যান । ঠাকুর মৃত্যু মুছ হাসিতেছেন। বলিতেছেন, “বাউলের দল হঠাৎ এলো,—নাচলে, গান গাইলে, আবার হঠাৎ চলে গেল ! এলো—গেল, কেউ চিনলে না। (ঠাকুরের ও সকলের ঈষৎ হাস্য )। কিয়ৎক্ষণ চুপ করিয়া ঠাকুর আবার বলিতেছেন,— “দেহ ধারণ করলে কষ্ট আছেই। “এক একবার বলি, আর যেন আসতে না হয় । “তবে কি,—একটা কথা আছে । নিমন্ত্রণ খেয়ে খেয়ে আর বাড়ির কড়ার ডাল ভাত ভাল লাগে না । “আর যে দেহ ধারণ করা,—এটি ভক্তের জন্য । ঠাকুর ভক্তের নৈবেদ্য—ভক্তের নিমন্ত্রণ-ভক্তসঙ্গে বিহার ভালবাসেন, এই কথা কি বলিতেছেন ? [ নরেন্দ্রের জ্ঞান ভক্তি –নরেন্দ্র ও সংসার ত্যাগ ] , ঠাকুর নরেন্দ্রকে সক্ষেহে দেখিতেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রের প্রতি)—চণ্ডাল মাংসের ভার নিয়ে যাচ্ছিল । শঙ্করাচাৰ্য্য গঙ্গা নেয়ে কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। চণ্ডাল হঠাৎ তাকে ছুয়ে । ফেলেছিল। শঙ্কর বিরক্ত হয়ে বললেন, তুই আমায় ছুয়ে ফেললি ! সে । বললে, “ঠাকুর তুমিও আমায় ছোও নাই আমিও তোমায় ছুই নাই ! তুমি বিচার কর! তুমি কি দেহ, তুমি কি মন, তুমি কি বুদ্ধি ; কি তুমি, বিচার কর । শুদ্ধ আত্মা নির্লিপ্ত—সত্ব, রজঃ, তমঃ, তিন গুণ । . —কোন গুণে লিপ্ত নয়।’ ༤༣