পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{

  • లిJo শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ ( ১৮৮৬, ১৫ই মার্ক

“ব্ৰহ্ম কিরূপ জানিস। যেমন বায়ু ছৰ্গন্ধ,"ঙল গন্ধ—সব বায়ুতে আসছে, কিন্তু বায়ু নির্লিপ্ত ” নরেন্দ্ৰ—আজ্ঞা হা । শ্রীরামকৃষ্ণ-গুণাতীত। মায়াতীত। অবিদ্যামায়া বিদ্যামায়া দুয়েরই অতীত । কামিনী-কাঞ্চন অবিদ্যা । জ্ঞান বৈরাগ্য ভক্তি—এ সব বিদ্যার ঐশ্বৰ্য্য। শঙ্করাচার্য্য বিদ্যামায়া রেখেছিলেন । তুমি আর এরা যে আমার জন্তে ভাবছো—এই ভাবনা বিদ্যামায়া ! ལང་འཚམས་ན་ “বিদ্যামায়া ধরে ধরে সেই ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ হয়। যেমন সিড়ির উপরের পইটে—তার পরে ছাদ । কেউ কেউ ছাদে পৌছোনোর পরও সিাড়তে আনাগোনা করে,—জ্ঞান লাভের পরও বিদ্যার আমি রাখে। লোক শিক্ষার জন্য । আবার ভক্তি আস্বাদ করবার জন্য—ভক্তের সঙ্গে বিলাস করবার জন্য ।” নরেন্দ্রাদি ভক্তেরা চুপ করিয়া আছেন। ঠাকুর কি এ সমস্ত নিজের অবস্থা বলিতেছেন ? নরেন্দ্ৰ—কেউ কেউ রাগে আমার উপর, ত্যাগ করবার কথায় । শ্রীরামকৃষ্ণ ( মৃত্নস্বরে )– ত্যাগ দরকার । ষ্ঠকুর নিজের শরীরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দেখাইয়া বলিতেছেন,—“একটা জিনিসের পর যদি আর একটা জিনিস থাকে, প্রথম জিনিসটা পেতে গেলে, ও জিনিসটা সরাতে হবে না ? একটা না সরালে অfর একটা কি পাওয়া,যায় ?” নরেন্দ্র –আজ্ঞা হা । শ্রীরামকৃষ্ণ ( নরেন্দ্রকে, মুহুস্বরে )—সেই-ময় দেখলে আর কিছু কি দেখা যায় ? w নরেন্দ্ৰ—সংসার ত্যাগ করতে হবেই ?