পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২ খ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ ( ১৮৮২, ২২শে অক্টোবর কৃষ্ণের উদ্দীপন হ'ল, উন্মত্তের স্থায় আমি দৌড়তে লাগলাম-কৃষ্ণ

  • -- ,

“পান্ধী করে খামকুণ্ড রাধাকুণ্ডের পথে যাচ্ছি গোবৰ্দ্ধন দেখ নামলাম, গোবৰ্দ্ধন দেখবামাত্রই একেবারে বিহ্বল, দৌড়ে গিয়ে গোবৰ্দ্ধনের উপর দাড়িয়ে পড়লুম —আর বাহশূন্ত হয়ে গেলাম। তখন ব্ৰজবাসীরা গিয়ে আমায় নামিয়ে আনে। শ্যামকুণ্ড রাধাকুও পথে সেই মাঠ, আর গাছপালা, পাখী, হরিণ–এই সব দেখে বিহ্বল হয়ে গেলাম। চক্ষের জলে কাপড় ভিজে যেতে লাগল। মনে হতে লাগল কৃষ্ণরে, সবই রয়েছে, কেবল তোকে দেখতে পাচ্ছি না। পান্ধীর ভিতরে বসে, কিন্তু একবার একটি কথা কইবার শক্তি নাই,—চুপ করে বসে। হৃদে পান্ধীর পিছনে পিছনে আসছিল। বেয়ারাদের বলে দিছ,লো ‘খুব হুসিয়ার ” - “গঙ্গামায়ী বড় যত্ন করত। অনেক বয়স। নিধুবনের কাছে কুটীরে একলা থাকত। আমার অবস্থা আর ভাব দেখে, ব’লতো —ইনি সাক্ষাৎ রাধা দেহ ধারণ করে এসেছেন। আমায় ‘তুলালী’ বলে ডাকতো ! তাকে পেলে আমার খাওয়া দাওয়া, বাসায় ফিরে যাওয়া সব ভুল হ’য়ে যেত। হৃদে এক এক দিন বাসা থেকে খাবার এনে খাইয়ে যেত—সেও খাবার জিনিস ত'য়ের করে খাওয়াত ।

  • গঙ্গামায়ীর ভাব হ’ত । তার ভাব দেখবার জন্ত লোকের মেলা হত। ভাবেতে একদিন হদের কাধে চড়েছিল। .

‘গঙ্গামায়ীর কাছ থেকে দেশে চলে আসবা? আমার ইচ্ছা ছিল না। সব ঠিক ঠাক, আমি সিদ্ধ চালের ভাত খাব –গঙ্গামায়ীর বিছান। ঘরের এদিকে হ'বে আমার বিছানা ওদিকে হবে। সব ঠিক ঠাক । হৃদে তখন বল্লে, তোমার এত পেটের অমুখ—কে দেখবে। গঙ্গামায়ী