পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s१० ঐশ্ৰীহরিলীলামৃত। দুঃখী লোক অবশিষ্ট প্রসাদ পাইল । শতাবধি লোকের প্রসাদ বিলি হ’ল ৷ রন্ধন হইল যে তণ্ডুল দুইমন। পরিতোষ পরিচ্ছন্ন হইল ভোজন ॥ দক্ষিণ লইয়। সবে বিদায় হইল । আয়োজন জিনিষের অৰ্দ্ধ ফুরাইল ॥ লীলা সাঙ্গ গোস্বামীর ত্যজিয়ী ভূলোক । পুত্র রূপে মহোৎসব করিল তারক ॥ এই কাৰ্য্য পরিচর্য্য। অন্ত যত কাৰ্য্য। গোপাল অধ্যক্ষ হ’য়ে করিল সাহায্য ॥ পূৰ্ব্বেতে গোপাল বড় পাষণ্ড ছিলেন। এই সব কার্য্য অতি যত্নে করিলেন। গোস্বামীর ক্রিয় অন্তে হইল প্রেমিক। রসিকের ধৰ্ম্ম ল’য়ে হইল রসিক ॥ হরিবলে সাধু সঙ্গ করে নিরবধি । শেষে তার সরকার হইল উপাধি ॥ সাধুনাম খ্যাত হৈল বৈষ্ণব সমাজ । রচিল তারকচন্দ্র কবি রসরাজ ॥ দেবী ঋমণীকে গোস্বামীর দর্শনদান ॥ পয়ার । গোস্বামীর লীলাসাঙ্গ বৈশাখ উনত্রিশে। মহোৎসব জ্যৈষ্ঠ মাসে প্রথম দিবসে ॥ পরেতে দেশের জ্যৈষ্ঠ মঙ্গল বাসরে । দেখা দিল গিয়া দশরথের নারীরে ॥ বাসুড়িয়। নিবাসী বিশ্বাস দশরথ । বহুদিন হইতে নিয়াছে হরি মত ॥ গোলোকের প্রিয় ভক্ত সপরিবারেতে। পাগলামী সদা করিতেন সে বাড়ীতে ॥ দশরথ বিশ্বাসের বাড়ীর দক্ষিণে । পালানে বেগুন ক্ষেত্র নিৰ্ম্মিত যতনে ॥ ঋমণি নামিনী দশরথের রমণী । ক্ষেত্রে গিয়া বেগুণ তুলেছে একাকিনী ॥ গোস্বামীর রূপচিন্তা হৃদয় মাঝার । হেন কালে গোস্বামী ছাড়িল হুহুঙ্কার ॥ " গোস্বামীকে দেখে ধনী পূর্ণভাবোদয়। পদরজ শিরে ধরি ধরণী লোটায় ॥ মা ! মা ! বলিয়া প্রভু বলিল তাহারে। যাত্রা করিয়াছি আমি গত শনিবারে ॥ অদ্য আমি বিলম্ব না করিব এখন । ওঢ়ার্কাদি যাইবারে হইয়াছে মন। ঠাকুরের লীল। সাঙ্গ হয়েছে যেদিনে। সেই হ’তে ভ্ৰমি ঠাকুরের অন্বেষণে ॥ যাত্রা করিয়াছি মাগে ভাবি সেই পদ । দেখিব কোথায় আছে বাবা হরিচাদ ॥ এদেশে বাবার ভক্ত আছে যতজন । একপাক বাড়ী বাড়ী করিব ভ্রমণ ॥ এতবলি যাত্রা করে দক্ষিণাভিমুখে। ঋমণি দাড়ীয়ে থেকে পাগলেকে দেখে ॥ সে মেয়ে ভাবিল মনে আজকে যাইবে । এইরূপে আসে যায় অীবাব আসিবে ॥ দুই দিন পরে পুন সংবাদ আসিল। জয়পুর পাগলের লীলা সাঙ্গ হ’ল ৷ শুনিয়া মূচ্ছিতা হয়ে পড়িল ঋমণি । পাগলের জন্তে যেন হ’ল পাগলিনী ॥ পরে গঙ্গাচর্ণ গ্রামে পাগল চলিল । গঙ্গাধর বাড়ই তাহাকে দেখা দিল। গঙ্গাধরে বলে আন তামাক সাজিয়ে । পরে কীৰ্ত্তিকের বাড়ী উঠিলেন গিয়ে । কীৰ্ত্তিক তামাক খেয়ে হুক খুয়ে যান। পাগল আসিয়া সে হুকীয় দিল টান ॥ পরে রাইচরণের বাড়ীতে উঠিল। হেনকালে গঙ্গাধর হুকা ল’য়ে এল ॥ কীৰ্ত্তিকে জিজ্ঞাস করে প্রভু গেল কই । কীৰ্ত্তিকের স্ত্রী অম্বিকা বলে গেল আই ॥ আপনি তামাক খেয়ে রাখিলেন হুক । ঘরে বসে তামাক খেলেন প্রভু একা ॥ তারপর পাগল মণ্ডল বাড়ী গেছে । দেখ গিয়া মণ্ডলের ঘরেতেই আছে ৷ হেনকালে সংবাদ আনিল একজন। করেছেন জয়পুর লীলা সম্বরণ ॥ শুনিয়া কাৰ্ত্তিক গঙ্গাধর রামমোহন। পাগল পাগল বলে ধরাতে পতন ॥ সেহইতে কীৰ্ত্তিক সে তামাক সাজিয়ে । নিত্য নিত্য রাখেন পাগলের লাগিয়ে ॥ পাগলের জন্তে সবে করে হাহাকার । কবি কহে নাহি পাবে খুজিলে সংসার। মধ্য খণ্ড সমাপ্ত ।