পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెe ভৌগোলিক বৃত্তাস্ত । | ১ম ভাঃ ৮ম অঃ — বলিয়া স্বীকার ও বিশ্বাস করে।” * ইহারা স্ত্রীত্যাগী, ব্রহ্মচৰ্য্য পালন করাই তাহাদের ধৰ্ম্মসঙ্গত বিধি। তাহারা তুলসী ও গোময়ের ব্যবহার করেন না ; { এবং স্বসম্প্রদায়ের “নিৰ্ব্বাণ সংঙ্গীত” গান করাই উপাসনার অঙ্গ মনে করেন। জগন্মোহন গোসাঞির শিষ্যের প্রশিষ্য রামকৃষ্ণ গোসাঞি হইতে এই ধৰ্ম্ম বহুল প্রচারিত হয়। বিথঙ্গলের আখড়াই ইহাদের প্রধান তীর্থস্থান। তদ্ব্যতীত মাছুলিয়া ও ঢাকার ফরিদাবাদে আরও দুই আখড়া আছে। ইহাদের শিষ্য সংখ্যা প্রায় পঞ্চসহস্ৰ । চাপঘাট পরগণাধীন কচুয়ার পার নামক স্থাননিবাসী ব্ৰহ্মানন্দ বৈষ্ণব তদঞ্চলে এইরূপ মত প্রচার করেন ; তাহার শিষ্য সম্প্রদায় তথায় “ব্রহ্মানন্দী” নামে কথিত হয়। জগন্মোহনী মতের সহিত এমতের বিশেষ অনৈক্য নাই। ইহারা জাতিভেদের প্রতি দৃষ্টি রাখেন না। ব্ৰহ্মানন্দীর সংখ্যায় যৎসামান্ত । মণিপুরীরা বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের অন্ধবিশ্বাসী। রাসযাত্রা উপলক্ষে তাহারা আগ্রহ সহকারে লাইচাবী অর্থাৎ কুমারীদের সহায়ে নৃত্যগীতসহকারে রাস গান করে। মণিপুরী রাস-নৃত্য সুন্দর বটে। ইহারা বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের গাঢ় অনুরাগী হইলেও, হিন্দু সমাজের অজাত একটি জাতীয় দেবতার পূজা প্রত্যেক বংশে প্রচলিত আছে। ইনি মৎস্যপ্রিয় বলিয়৷ এই দেবতাকে বোয়াল মৎস্তাদি উপহার দেওয়া হয় ; এবং তিনি বংশের প্রধান ব্যক্তির জিম্বায়, বাড়ীর পশ্চাৎ ভাগে অনাদৃত ভাবে বাস করেন। মণিপুরীদের এই দেবতা, তাহাদের ভূতপূৰ্ব্ব পাৰ্ব্বত্য যুগের উপাস্ত দেবতার ত্যক্তাবশেষবিশেষ বিবেচনা করা যাইতে পারে। ১৭১৫ খৃষ্টাব্দের পর চিতোম্ খোস্ব রাজার সময়ে, শ্ৰীহট্টবাসী ‘অধিকারী ব্রাহ্মণগণ কর্তৃক মণিপুরীরা বৈষ্ণব ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হয়। যৌবন বিবাহ ইহারা ধৰ্ম্মবিরুদ্ধ মণিপুরী রাস।

  • ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায় ১ম ভাগ ২১• পৃষ্টা।

+ বর্তমানে ইহার ব্যবহার কিয়ৎ পরিমাণে চলিতেছে। { বঙ্গদর্শন পত্রিকা-১২৮৪ সাল । এবং জীযুক্ত কৈলাসচন্দ্র সিংহ প্রণীত “ত্রিপুরার हेडिशन" अहेबT ।