পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSo ভৌগোলিক বৃত্তান্ত। [ ১ম ভাঃ ৯ম অঃ - এইখানেই তিনি বিরাজিত থাকিয়া আমাদের দুর্দশা দেখিতেছেন, লোক মুখে ও গ্রন্থে তাহার নামও আমরা অবগত হইতেছি, কিন্তু কি দুঃখের বিষয়, আমাদের কি দুৰ্গতির বিষয়, আমরা সেই নাম প্রকৃত পদার্থের সঙ্গে যোগ করিতে না পারিয়া দেবীর পরিচয় পাইতেছি না। কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয়, পদার্থ পরিচয় কিম্বা পার্থিব ঘটনা আত্মপরিচয়ের প্রমাণের জন্য, ইতিহাসের উপরে যতদূর নির্ভর করিতে বাধ্য, দেবতত্ত্ব আপন প্রমাণের জন্য, ইতিহাসের প্রতি সেরূপ নির্ভর না করিলেও চলে । দেবতত্ত্ব আধ্যাত্মিক ব্যাপার, ইহার ঐতিহাসিক প্রমাণের অতিরিক্ত একটা আধ্যাত্মিক প্রমাণও আছে। কিন্তু এই প্রমাণ যত্র তত্র পাইবার সম্ভাবনা নাই। যাহারা সাধন বলে হৃদয়ের নিৰ্ম্মলতা লাভ করিয়াছেন, যাহাদের জ্ঞানচক্ষু ও জ্ঞানকর্ণ প্রস্ফুটিত হইয়া দেবদর্শন ও দৈববানী শ্রবণের শক্তিলাভ করিয়াছে, এই আধ্যাত্মিক প্রমাণ র্তাহাদিগেরই প্রাপ্য এবং তাহাদিগের নিকট হইতেই সাধারণের গ্রাহ। যে আধ্যাত্মিক প্রমাণের উপর নির্ভর করিয়া সহর হইতে প্রায় দুইমাইল দক্ষিণ পূৰ্ব্বদিকে অবস্থিত (গোটাটিকরের সমীপস্থ জৈনপুরে ) ভৈরবী দেবীকেই মহালক্ষ্মী আর তত্ৰত্য শিবটিলার শিবকেই সৰ্ব্বানন্দ বলা হয়, তাহা নিয়ে বিবৃত করিলাম। আধ্যাত্মিক ব্যাপারে র্যাহাদের অভিজ্ঞতা আছে, তাহারা এ প্রমাণ কদাপি উপেক্ষা করিবেন না।” “শতাধিক বর্ষ হইল, বৈদ্য বংশীয় দেবীপ্রসাদ দাস জৈনপুরে একটি পথ প্রস্তুত করিবার জন্য লোক নিযুক্ত করেন, পথিমধ্যে প্রস্তরময় একটা স্থান দেখিয়া লোকটি সেই প্রস্তর উঠাইয়া ফেলিবার নিমিত্ত প্রয়াস পায় এবং একটা টুকরা বিচ্ছিন্ন করিয়া ফেলে। সেই সময় একটি কন্যামূৰ্ত্তি আবিভূত হইয়া ছেদনকারীর গণ্ডদেশে ঠোকর মারাতে ঐ ব্যক্তি পলাইয়া যায় এবং অচিরেই মারা পড়ে। সেই রজনীতে নিয়োগকারী দেবীপ্রসাদ স্বপ্নে আদিষ্ট হন,—“আমি ভৈরবী, এস্থানে আছি, তোমার লোক আমার অঙ্গে আঘাত করিয়াছে, তুমি তোমার কুশল আকাঙ্খা করিলে নিত্য সেবা পূজার ব্যবস্থা করিবে । মহাপীঠ প্রকাশ ।