পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S X 3 ভৌগোলিক বৃত্তান্ত । [ ১ম ভাঃ ৯ম অঃ । হইল যে এই প্রস্তর শিবের অঙ্গ, ইহাতে আঘাত করা উচিত নয়। তাহাকেও মনোভাব ব্যক্ত করিলাম ; কিন্তু তাহার মনে বিশ্বাস হইল না। সে বলিল এ. পাথর শিবের অঙ্গ নয়, অতিরিক্ত।’ এই বলিয়া পাথর কাটিতে আঘাত আরম্ভ করে কিন্তু প্রত্যেক আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে ভয়ানক অগ্নিস্ফ লিঙ্গ উঠিতে থাকে। সাধারণতঃ পাথরে লোহার আঘাত করিলে যেরূপ অগ্নি উৎপন্ন হয়, এ সেরূপ নহে, ইহা তদপেক্ষা অধিক ও প্রোজ্জল । এইরূপ দুই চারিবার আঘাতের পর হঠাৎ সে মূৰ্ছিত হয়, তখনি আমি কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইলাম, চক্ষে জল আসিল, মনে অতিশয় ভয়ের সঞ্চার হইল, তাহার শুশ্রুষা করিতে লাগিলাম। সেইদিন বৈকালে কৃষ্ণকুমার বলিল, “আমার বুকে ব্যথা হইয়াছে, অদ্য বাড়ী যাইব ।’ এই বলিয়া সে আখালিয়া নিজ বাড়ীতে চলিয়া গেল। বাড়ী যাওয়ার দুইদিন পরেই তাহার মুখ হইতে প্রবল বেগে রক্ত উঠিতে থাকে ও সেই রক্ত উঠাই পশ্চাৎ তাহার মৃত্যুর কারণ হয়। এ রক্ত উঠা যে তাহার মৃত্যুর কারণ, ইহা সকলেই জানেন ; কিন্তু পূৰ্ব্ব ঘটনা আমি ভিন্ন কেহই জানে না। কাতর সংবাদ জানিয়া তাহাকে দেখিতে গেলে সে আমাকে বলিয়াছিল, ‘ভাই আমি মরিতেছি ; কিন্তু একথা সহসা প্রকাশ করিও না, লোকে আমাকে অবিমূৰ্য্যকারী বলিয়া গালি দিবে। আমিও অধ্যাপকের ভয়ে এবং মৃতের বাক্য পালন কৰ্ত্তব্য বিবেচনায় এযাবৎ প্রকাশ করি নাই। এখন এই সম্বন্ধে আন্দোলন চলিতেছে দেখিয়া কৰ্ত্তব্য বোধে প্রকাশ করিলাম । সেই কথা মনে হইলে এখনও শরীর শিহরিয়া উঠে।” শ্ৰীযুক্ত শরচ্চন্দ্র চৌধুরী মহাশয়ের প্রবন্ধ হইতে আরও কিছু উদ্ধত হইতেছে। তিনি লিখিয়াছেন —“কামাখ্যান্থ ভুবনেশ্বরীর প্রসিদ্ধ সন্ন্যাসী শ্ৰীঅভয়ানন্দ তীর্থ (১৯০২ খ্ৰীষ্টাব্দে জ্যৈষ্ঠ মাসে ) এখানে পদার্পণ করিলে, র্তাহাকে আনিয়া গোটাটিকরে উপস্থিত করা হইল। তিনি শিবটল ও ভৈরবীর বাড়ীতে উপস্থিত হইয়াই আপনাতে ভাবান্তর অনুভব করিলেন এবং সন্নিহিত জনগণের নিকট দুই স্থানের ভূয়সী প্রশংসা করিতে লাগিলেন। এই ভৈরবী যে মহালক্ষ্মী মহাপীঠের প্রকৃষ্ট পরিচয় ।