পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীর্থস্থান। ] শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। לל & পীঠ এবং এই শিবই যে সৰ্ব্বানন্দ ভৈরব, একথা তিনিও অতি দৃঢ়তার সহিত পুনঃ পুনঃ বলিতে লাগিলেন। অভয়ানন্দ কি আধ্যাত্মিক প্রমাণের উপর তদীয় মত স্থাপনা করিয়াছিলেন, তাহ সাধারণে জানিবার কথা নহে। কিন্তু তিনি কৌতুহলাক্রান্ত সমাগত ব্যক্তিদিগকে যে কয়েকটি কথা বলিয়াছিলেন, তন্মধ্যে তিনটি অনেকেই স্মরণ রাখিয়াছেন – (ক) ভৈরবীপীঠের আকার ও পরিমাণ মহাপীঠেরই সদৃশ, কামাখ্যা পীঠেরও এই আকার ও পরিমাণ ; শিব হস্তে ৮ হাত । ( থ ) শিবটীলার শিবের যথাস্থানেই অবস্থান অর্থাৎ ঠিক ভৈরবী পীঠের ঈশান কোণে । (গ) সমীপস্থ জয়ন্তী বামজঙ্ঘা মহাপীঠ সম্বন্ধে যেরূপ মন্দির করিতে আদেশ নাই, এই স্থানেও সেইরূপ ঘটিয়াছিল।” “শিবের উপরে যে প্রস্তর খণ্ড ছিল, ইতিপূৰ্ব্বে তাহাই শিবের শক্তি মনে করিয়া তাহার বাম পার্শ্বে রাখা হইয়াছিল, অভয়ানন্দ সে ভ্রম দুর করিলেন । র্তাহার প্রসাদেই মহালক্ষ্মীর সঙ্গে সৰ্ব্বানন্দের যোগ সাধারণে বিশেষ ভাবে বুঝিতে পারিল ।” “দেবতার নাম কেহ না জানিলেও দেবতা এখানে চিরকাল বর্তমান আছেন। ইহা মনুষ্য স্থাপিত নহে। কত কত মনোজ্ঞ স্থানে কত মনোহর প্রস্তর খণ্ড রহিয়াছে, কেহ তাহার পূজা করে না, কেহ তাহাতে দেবত্ব দর্শন করেন। এখানে মহাদেবী ও মহাদেবের মহিমা আধ্যাত্মিক চক্ষুষ্মান লোকে প্রত্যক্ষ করিয়াছেন বলিয়াই তাহাদের পূজা দীর্ঘকাল হইতে চলিয়া আসিতেছে। তবে প্রভেদ এই, লোকে তাহাদিগকে সাধারণ দেবতা বলিয়া জানিত, बशी বলিয়া জানিত না। একথাও নব্য যুগ সম্বন্ধেই বলা যায়। প্রাচীন কালে লোকে যে ইহাদের পরিচয় জানিত না, এরূপ প্রমাণ কি আছে ? তাহ না জানিলেও ক্ষতি নাই, কারণ তন্ত্রোক্ত পূজার প্রয়োজন বিশেষ ভাবে কলির জীবের জন্য। এই কলিতেই নানাস্থানে নানারূপে আপনা হইতে যত্ন করিয়া তাহারা জীবের নিকট প্রকাশ পাইতেছেন ; ভবানীপুর, পূৰ্ব্বকথার আলোচনা |