পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ ᏱᏌ ভৌগোলিক বৃত্তান্ত । [ ১ম ভাঃ ৯ম অঃ — পুনৰ্ব্বার নবদ্বীপ গমন করেন, বিদায়ের পূৰ্ব্বে শচীকে তাহার শ্বাশুড়ী অকুরোধ করেন যে, তাহার পুত্র হইলে তাহাকে যেন একটবার ঢাকাদক্ষিণে পাঠাইয়া দেন ।” "যথাকালে শ্বাশুড়ীর অনুরোধ শচীদেবী পুত্রকে জানাইয়া ছিলেন, কিন্তু গৌরাঙ্গ সন্ন্যাসের পূৰ্ব্বে শ্ৰীহট্ট পৰ্য্যন্ত আসিতে পারেন নাই। সন্ন্যাসের পর ১৪৩১ শকেই তিনি ঢাকাদক্ষিণ আগমন করেন ।” “পূৰ্ব্বোক্ত গ্রন্থদ্বয়ে বর্ণিত আছে যে, বৃদ্ধ স্বীয় পেত্রের কাছে নানা কথা বার্তার সঙ্গে আপনাদের পারিবারিক সুখদুঃখের কথাও বলিয়াছিলেন। তাহাতে শ্ৰীচৈতন্য র্তাহাকে দুইটি মূৰ্ত্তি দেন, একটি কৃষ্ণমূৰ্ত্তি, অপরটি তাহার নিজের। এই মূৰ্ত্তি দুইটি প্রদান করিয়াই তিনি চলিয়া যান, কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, এই দুইটি মূৰ্ত্তির প্রভাবে সে গ্রাম হরিভক্ত হইল -বিরুদ্ধবাদী কেহই রহিল না এবং এই মূৰ্ত্তি দুইটির প্রভাবেই মিশ্রবংশের পারিবারিক অভাব দূরীভূত হইল।” : “এই উপেন্দ্র মিশ্রের বাড়ী, যেখানে পূৰ্ব্বোক্ত মূর্তিদ্বয় বিরাজিত, তাহ এখন ঠাকুরবাড়ী’ নামে প্রসিদ্ধ। এই ঠাকুর বাড়ীর সম্মুখে ডাকঘর, বাজার প্রভৃতি আছে। রথযাত্রা ও ঝুলনোৎসবই অধিক জাক জমকের সহিত হইয়া থাকে।” * “এতদ্ব্যতীত ঢাকা দক্ষিণে প্রসিদ্ধ গোপেশ্বর শিব আছেন। ঠাকুর বাড়ী হইতে তাহা প্রায় দুই ক্রোশ দূরে ৷ কৈলাশ নামক ক্ষুদ্র পাহাড়ের উপর শিবালয় । চৈতন্য দেব এই শিবদর্শনে গিয়াছিলেন বলিয়া গ্রন্থে বর্ণিত আছে । কৈলাসের পাশ্বেই অমৃতকুণ্ড।” শ্রীচৈতন্য দেব অমৃতকুণ্ডও দর্শন করিয়াছিলেন, কিন্তু এখন ঐ কুণ্ডের চিহ্ন পাওয়া যায় না, ইহা বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে। ( পণাতীর্থ ও শ্রীঅদ্বৈতের আখড়া । যে অদ্বৈতাচার্য্যের বাসস্থান বলিয়া শান্তিপুর বৈষ্ণবগণের কাছে এক দর্শনীয় স্থানে পরিণত হইয়াছে, সে মহাত্মার জন্ম স্থানের "***" সন্নিধানেই পণ্যতীর্থ বিরাজিত। ষ্টিমারে সুনামগঞ্জে অৰতরণ পূর্বক পণাতীর্থে যাওয়া সুবিধা জনক ।