পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম অধ্যায় ] রাজা গোরিন্দ । নানাবিধ অসাধারণ ক্ষমতা ছিল, * এই জন্য মোসলমানগণ র্তাহাকে যাদুবিদ্যা বিশারদ বলিয়। বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু তিনি কুসংস্কার বর্জিত ছিলেন না, ইহা দেশের পক্ষে অশুভ জনক হইয়াছিল। সহরের উত্তরাংশে (বৰ্ত্তবান মজুমদারির মধ্যে ) “গড়দুয়ার” মহল্লা বলিয়া যে একটি স্থান আছে, তথায় এখনও অনেক ইষ্টক দৃষ্ট হয়, ঐ ইষ্টক রাশি রাজবাটিকার ভগ্নাবশেষের নিদর্শন। গড়দুয়ার মহল্লায় গৌড় গোবিন্দ রাজার ‘গড়’ অর্থাৎ দুর্গ ছিল । * সহরের উত্তরে—টীলাগড়ে, জয়ন্তীয়াবাসী অসভ্য জাতীয়ের আক্রমণ রোধার্থে আর একটি গড় বা দুর্গ ছিল ; তাহাও ভগ্নাবশেষে পরিণত হইয়াছে। একটি টীলার উপরে দুর্গ থাকায় ঐ স্থান টলাগড় বলিয়া খ্যাত হয় । উচ্চ স্তম্ভকে মিনার বলে। বৰ্ত্তমান সহরের উত্তরে এক উচ্চ শৈলখণ্ড দৃষ্ট হয়, ইহাকে মিনারের টালা বলিত । (সাধারণ লোকে মনারায়ের টালা বলে । ) এই টলাতেও রাজার এক বাড়ী ছিল। তৎপাশ্ববর্তী (বৰ্ত্তমান ) কাজি টােলা ও দরগা মহল্লায়ও গৌড় গোবিন্দ রাজার রাড়ী ও দেবালয় ছিল বলিয়া কথিত আছে। মিনারের টালাস্থিত বাটীতে রাজ কোন কোন সময় সাধু সন্ন্যাসী সহ মুখে বাস করিতেন। পূৰ্ব্বে এই স্থানে যে সন্ন্যাসী সমাগম ঘটিত, তাহার প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। " * See Hunter's History and statistics of the Dacca Division— Sylhet Section. P. 291. + “গড় দুয়ারে গোবিন্দের ছিলো যে থাকান। কেল্লা এক ছিল তাতে পৰ্ব্বত প্রমাণ ॥” পুনঃ—“গড় দুয়ার নামে এক মহল্লার নাম । সেখানে ছিলেক তার সরদারি সামান ৷” * —তোয়ারিখে জলালি। ¢ বিগত ভূকম্পের পর ( ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দে ) মিনারের টালায় জজসাহেবের বাসের জঙ্গ ‘বাঙ্গলা প্রস্তুত হইতেছিল, তৎকালে ৫৬ ফিট মাটির নীচে সন্ন্যাসীদের ব্যবহারোপযোগী “ভাং” প্রস্তুত করিবার দুইটি “খলপাত্র” প্রাপ্ত হওয়া যায়। ইহার একটি ইগনাস্ ষ্টোন নিৰ্ম্মিত,—উঙ্গ ১৩ ইঞ্চি দীর্ঘ, ১যুট প্রস্থ ও ৫ ইঞ্চি উচ্চতা বিশিষ্ট। দ্বিতীয় খলপাত্রটি ছেণ্ডষ্টোন নিৰ্ম্মিত এবং এক ফুট মাত্র দীর্ঘ। এই দ্বিবিধ প্রস্তরই ব্ৰহ্মপুত্র কি সুরম উপত্যকায় মিলে না। ইহা দেবালয়বাসী ভিন্নদেশাগত সন্ন্যাসীদের দ্বারা আনীত হইয়াছিল । পরিদর্শক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ।