পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ●。 শ্রীহট্টের হাতৰূওঁ ২য় ভাঃ ২য় খঃ একজন শিষ্য প্রেরণ করিলেন। শিষ্য শাহজালাল সমীপে উপস্থিত হইব। মাত্র তিনি উহার মনের অভিপ্রায় বুঝিতে পারিলেন, এবং কিছু না বলিয়। একটা কোঁটায় কিছু তুলা এবং আগুণ রাখিয়া বন্ধ করিয়া শিষ্যের হাতে উহা নেজাম উদ্দীনের নিকট পাঠাইয়া দিলেন। নেজাম উদ্দীন কোটা খুলিয়া জগ্নি ও তুলা দেখিয়া শাহজালাল তাহার মানসিক ভাব বুঝিতে পারিয়াছেন ভাৰিয়া, লজ্জায় ম্ৰিয়মাণ হইলেন। বাস্তবিক তপস্বী নেজাম উদ্দীনের তুলা সদৃশ সাদা ও কোমল ধৰ্মিষ্ঠ অন্তঃকরণে যে শাহজলালের প্রতি সন্দেহ বহির স্থান পাইয়াছিল, ইহাই আশ্চর্য্যের বিষয়, যোগসিদ্ধ শাহজলালের উহা বুঝিতে পার তেমন আশ্চর্য্যের বিষয় নহে ।” “া জালালী কবুতর }—নেজামউদ্দীন নিজকে অপরাধী মনে করিয়া স্বয়ং শাহজলালকে দেখিবার নিমিত্ত গমন করিলেন। দেবালয়, রাজা ও সাধুর নিকট রিক্ত হন্তে কেহ যায় না। নেজামউদ্দীনের দুই জোড়া কাজল রংএর কবুতর ছিল, তাহাই নিয়া সাধু শাহজলালকে উপহার প্রদান করিলেন এবং নিজের ক্রটির নিমিত্ত বহু সাধ্য সাধনা করিলেন । বোধ হয় শাহজলালের এই কপোত চতুষ্টয়ই এই পূৰ্ব্ববঙ্গ অঞ্চলে জালালী কবুতরের প্রাদুর্ভাবের নিদান। পারাবত মাংস এই অঞ্চলে ভক্ষ্য হইলেও জালালী কবুতর কেহই হিংসা করে না ।” ) অতঃপর দিল্লী নগরে যেরূপে হজরত শাহজলালের সহিত বুরহান উদ্দীনের মিলন হয় এবং যেরূপে তিনি বুরহান উদ্দীনকে আশ্বাস দিয়া শ্ৰীহট্টাভিমুখে রওয়ানা হন, তাহ পূৰ্ব্বে কথিত হইয়াছে। এদিকে সিকান্দর গাজী বার বার পরাজিত হইয়া অতিশয় লজ্জিত হইলেন। তিনি সম্রাটকে মুখ দেখাইতে অনিচ্ছুক হইয়া, নিজ পরাজয় বাৰ্ত্ত দূতমুখে জ্ঞাপন করিয়া আরও সাহায্য প্রার্থনা করিলেন। সম্রাট সৈন্য সমূহের ভীতি ও গৌড়গোবিদের যান্থবিদ্যার গল্প শ্রবণ করিয়৷ এই পরাজয়ের মূল নিৰ্দ্ধারণ করিতে সমর্থ হইলেন, এবং সেই অবোধ সৈন্য প্রবোদার্থ তিনিও জনৈক পীরকে সেনাপতিরূপে প্রেরণ করিতে সংকল্প করিলেন। ঐ সময়ে বোগাদবাসী সৈয়দবংশীয় নসিরউদ্দীন নামক এক সাধুপ্রকৃতির