পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१ खश्ािनि ] দরবেশ শাহজালাল । OO জরুর এমন উপায় করিবে। সিকান্দর বিষয়ী লোক, তিনি এই সামান্ত কথার বিপরীত অর্থ করিলেন। শীত নিবারক কস্থা কম্বলের আয়োজন না করিয়া শাহজলালের নিমিত্ত শীতহারিনী বণিতার অঙ্গুসন্ধান করিতে লাগিলেন।” “[ সিকান্দরের পরিণাম ]—অনেক চেষ্টায় পরম সুন্দরী এক রমণী যোগাড় করিয়া সিকান্দর শিবিকায় তাহাকে শাহজলাল সমীপে পাঠাইয়া দিলেন। ইহা দেখিয়া সাধু পরিতাপ করিয়া বলিলেন, ‘হায়, সিকান্দর নিজে যেরূপ ডুবিয়াছ, আমাকেও কি সেইরূপ ডুবাইবে? আমি দীনহীন ফকির, মজারদ, আমার জন্যকি এই ব্যবস্থা ? ইহার কিছু পরেই সংবাদ আসিল, সিকান্দর শাহ স্বরমা নদী পার হইতে গিয়া নৌকা ডুবিয়া মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছেন। আরও আশ্চর্ঘ্যের বিষয় যে, তখন কোনওরূপ তুফান বা তরঙ্গ কিছুই ছিল না । বহু অনুসন্ধানেও সিকান্দরের মৃতদেহ পাওয়া গেল না ।” “[ রমণীর পরিণয় ]—শাহজলালের সঙ্গে তদীয় প্রিয়তম যে সকল শিয্য ছিলেন, তন্মধ্যে হাজি ইউসুফের প্রতি আদেশ হইল যে, তিনি সিকান্দরের প্রেরিত রমণীর যথারীতি পাণিগ্রহণ করেন। হাজি ও সংসারবিরক্ত ছিলেন; তাই ধন দৌলতের অভাব এবং সংসারিক ধৰ্ম্মে বীতস্পৃহতা জানাইয়া পরিহার প্রার্থনা করিলেন। কিন্তু শাহজলাল র্তাহাকে নানা যুক্তি ও নিৰ্ব্বন্ধ সহকারে পুনশ্চ আদেশ করাতে তিনি অগত্যা স্বীকার করিলেন। এই পরিণয়জাত সস্তানগণের বংশধরেরাই এক্ষণে সাধুর সমাধির তত্ত্বাবধায়ক এবং ইহঁদের সরদার সকুমও এই বংশজাত।”

  • শাহ সিকান্দর স্বশাসক ছিলেন ; কিন্তু তিনি অধিকাংশকাল বন্যজন্তু ও পক্ষী এবং মৎস্য শিকারের আমোদে রত থাকিতেন। এই জন্য তাহাকে নৌকাযোগে স্থানে স্থানে ভ্রমণ করিতে হইত বলিয়া কথিত আছে। এ অঞ্চলে মৎস্ত শিকারী বালকগণ বরণী শিকার করিতে গিয়া প্রথমে সিকান্দর শাহ গাজীকে বন্দনা করিয়া থাকে ; যথা—“শাহ t সকান্দর গাজী, মাছ পাইলে আধাআধি ; তুই খাইবে মাছখান, মোরে দিবে গছ খান।” ইত্যাদি। এই বন্দন হইতে সিকান্দরের মৎস্ত শিকার প্রিয়তার প্রমাণ হয়। 幅 (আমাদের যোজিত টীকা । )