পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૨ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত। [ २ग्न उॉ: २घ्र शृं: காக ALAM তদীয় সেনাপতি পদে নিযুক্ত ছিলেন। চিলারায়ের বাহুবলে নরনারায়ণের রাজ্যসীমা অনেক বৰ্দ্ধিত হয় ; তিনি কাছাড়, মণিপুর জয়াস্তে জয়ন্তীয়াপতিকে পরাস্ত করেন, তৎপরে শ্রীহট্টের শাসনকৰ্ত্তাকে পরাজয় করিতে সৈন্ত চালনা করা হয়। প্রথমতঃ তিনি এক-দূত পাঠাইয়া জিজ্ঞাসা করেন যে, শ্ৰীহট্রপতি তাঁহার বশ্যতা স্বীকার করিতে প্রস্তুত আছেন কি না। কামরূপ সেনাপতির এই গৰ্ব্বিত বাক্য শ্ৰীহট্টের শাসনকৰ্ত্ত আদৌ গ্রাহ করিলেন না। তখন চিলারায় তাহার উৎকৃষ্ট সৈন্যগণ সহ শ্ৰীহট্টাভিমুখে ধাবিত হইলেন। শ্ৰীহট্টের শাসনকৰ্ত্তাও অপ্রস্তুত ছিলেন না, সুতরাং উভয় পক্ষে ঘোরতর যুদ্ধ আরম্ভ হইল। উভয় পক্ষেই অসংখ্য সৈন্য বিনষ্ট হইতে লাগিল, দুই দিবস মধ্যে অবিরাম যুদ্ধ চলিল, কোন পক্ষেই জয় পরাজয় নিৰ্দ্ধারিত হইল না। দুই দিবসের যুদ্ধের পর চিলারায়ের পক্ষে একটু শুভ লক্ষণ দেখা যাইতে লাগিল, স্বসৈন্তের উৎসাহ বৰ্দ্ধন করিয়া অমনি তিনি নিস্কোষিত অসি হস্তে শত্রুসৈন্যসাগরে ঝাপ দিয়া শত্রু নিপাত করিতে লাগিলেন। চিলারায়ের এই অসম সাহসে বিপক্ষগণ বিস্মিত ও ভীত হইল, মুহূৰ্ত্ত মধ্যে তাহারা দেখিতে পাইল যে কামরূপসেনাপতির অসি আঘাতে, তাহদের অধিপতির মস্তক ভূলুষ্ঠিত হইল! এই ভয়াবহ দৃশুে শ্ৰীহট্টের সৈন্যগণ তখন রণক্ষেত্রে তিষ্টিতে সাহস পাইল না,— ছত্ৰভঙ্গে মুহূৰ্ত্ত মধ্যে অদৃশ্য হইয়া গেল। যুদ্ধের অবসান হইল, শ্ৰীহট্রপতির ভ্রাতা বন্দী অবস্থায় নরনারায়ণ সদনে নীত হইলন ও ২০• ঘোটক, ১০ • হস্তী, ৩০০,০০০ টাকা এবং ১০,০০০ মোহর কর স্বরূপ প্রদানের অঙ্গীকারে আত্মমোচন করেন। * এই ব্যক্তির নামও জ্ঞাত হওয়া যায় না। শ্ৰীহট্রপতির ভ্রাতা হইলেও ইনি সম্ভবতঃ অকৰ্ম্মণ্য বলিয়া আমিল পদ প্রাপ্ত হইতে পারেন নাই। যাহা হউক, চিলারায়ের অভিযানের পর যিনি শ্ৰীহট্টের শাসনকৰ্ত্ত ছিলেন, তাহাকেও ত্রিপুরাধিপতির সহিত যুদ্ধে লিপ্ত হইতে হইয়াছিল।

  • ঐযুত পদ্মনাথ বরুয়া কৃত "সংক্ষিপ্ত আসামর বুরী" গ্রন্থের ৫ম অধ্যায় ২৮২৯