পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাকৃতিক বিবরণ ], শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । ১৩ হইতেছে। দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ মাইল। তীরে—মুচিকান্দি, গাজীগঞ্জ, লস্করপুর, হবিগঞ্জ প্রভৃতি । - ( ৪ ) গোয়াইন—জয়ন্তীয়া পৰ্ব্বত হইতে সারি নদী নামে উৎপন্ন হইয়া, কুইগাঙ্গ নামক উপনদীর সম্মিলনে গোয়াইন নাম ধারণ করিয়াছে ও দক্ষিণ পশ্চিমাভিমুখে প্রবাহিত হইয়া চেঙ্গের খাল নামে ছাতকের উত্তরে সুরমাতে পতিত হইতেছে। দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ মাইল। তীরে—জয়ন্তীয়াপুর, গোয়াইনঘাট প্রভৃতি। (৫) পিয়াইন—জয়ন্তীয়া পাহাড় হইতে উৎপন্ন হইয়া, দক্ষিণ পশ্চিমাভিমুখে প্রবাহিত হইয়া ছাতকের উত্তরে সুরমাতে পতিত হইতেছে। দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫ মাইল। তীরে-রস্তমপুর, কোম্পানীগঞ্জ প্রভৃতি। (৬) বোলাই—খাসিয়া পৰ্ব্বত হইতে নির্গত হইয়া, দক্ষিণ পশ্চিমাভিমুখে প্রবাহিত হইয়া কংস নদের সহ সম্মিলনে ধনু নাম ধারণে ময়মনসিংহ জিলায় প্রবেশ করিয়াছে। দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০ মাইল । তীরবত্তী স্থান—তাহিরপুর, জগদীশপুর, হরিহরপুর প্রভৃতি। যাদুকাটা নদী ও রক্তি নদী ইহার উপনদী। (৭) কংস—গারে পাহাড় হইতে নির্গত হইয়৷ পূৰ্ব্ব দক্ষিণাভিমুখে (ধৰ্ম্মপাশার নিকট) শ্ৰীহট্টের সীমা রেখা রূপে কিছু দূর অগ্রসর হইয়া বেলাইর সহিত সন্মিলনে ধনু নামে পুনঃ ময়মনসিংহে প্রবেশ করিয়াছে। দৈর্ঘ্য ৩৫ মাইল । তীরে—ধৰ্ম্মপাশা, তাজপুর প্রভৃতি / শ্ৰীহট্ট জিলায় আরও বহুতর নদী আছে। তন্মধ্যে — (উত্তর শ্রীহট্টে )—লুবা, বার, কুইগাঙ্গ । ( করিম গঞ্জে )—লুলা, শিংলা, কচুগাঙ্গ ! (দক্ষিণ শ্ৰীহট্ট )—জুড়ী, গোপলা। ( হবিগঞ্জে )—করঙ্গী, সুতাং কলকলিয়া । ( সুনাম গঞ্জে )—ধামালিয়া, পীনি, মহাসিংহ (মাসিং)। এই সকল নদী অপেক্ষাকৃত প্রসিদ্ধ। শিংলা নদী ত্রিপুরা পৰ্ব্বত হইতে বাহির হইয়া শণ বিলে পতিত হইতেছে। কচু গাঙ্গ শণ বিল হইতে বাহির হইয়া কুশিয়ারাতে পড়িতেছে। ১ জুড়ী ত্রিপুরা পৰ্ব্বত হইতে বাহির হইয়া হাকালুকি হাওরের মধ্যদিয়া লঙ্গাই সন্মিলনে কুশিয়ারাতে পতিত হইতেছে। তীরে—ঘিলাছড়া বাজার।