পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છે ર ভৌগোলিক বৃত্তান্ত । [ ১ম ভাঃ ২য় অঃ — Πωmωμα (খ ) সুরমার দ্বিতীয় এক শাখা চরণার চর, শ্যামার চর হইয়া ময়মনসিংহে প্রবেশ করত: আজমীরগঞ্জের নিকট ধলেশ্বরীর সহিত মিলিত হইয়াছে। (৩) ধলেশ্বরী বা ভেড়ামোহানা—ইহা মূল নদী নহে, কালনী, বিবিয়ান প্রভৃতির সংমিশ্রণে আজমীরগঞ্জ হইতে এক বিশাল জল প্রবাহ প্রায় ৪৫ মাইল ধাবিত হইয়া পরে মেঘনা নদীতে পরিণত হইয়াছে। ইহা শ্ৰীহট্ট ও ময়মনসিংহ জিলার মধ্য সীমারূপে প্রবাহিত হইতেছে। তীরবর্তী স্থান-আজমীরগঞ্জ, কাকাইলছেও, বিথঙ্গল, মাদনা প্রভৃতি। ইহাদের উপনদী সমূহ – (১) লঙ্গাই—ত্রিপুরা পৰ্ব্বতন্তর্গত জম্পাই পাহাড় হইতে উৎপন্ন হইয়৷ উত্তরাভিমুখে করিমগঞ্জের তিনমাইল দক্ষিণে ( লঙ্গাই ষ্টেশন) পৰ্য্যন্ত আসিয়াছে, তৎপর দক্ষিণ পশ্চিমাভিমুখে হাকালুকি হাওরের মধ্যে দিয়া জুড়ী নদীর সহিত একত্রে ফেচুগঞ্জের নিকট কুশিয়ারাতে পতিত হইতেছে। হাকালুকিতে গঙ্গাই নদীর নিতান্ত দুরবস্থা ঘটয়াছে। বর্ষাকালে তথায় গঙ্গাইর অস্তিত্ব লুপ্তপ্রায় হইয়া যায় এবং হেমন্তে জল শুষ্ক হইলে, হাওয়ের বিভিন্ন খাতে ক্ষীণ কলেবরে অবস্থান করে। ইহার দৈর্ঘ্য জুড়ী সন্মিলন পৰ্য্যন্ত প্রায় ৯৫ মাইল । তীরবর্তী স্থান—হাতীখিরা, বৈঠাখাল, চান্দখিরা, পাথরকান্দি, নিলামের বাজার, লাতু, জলডুব প্রভৃতি। (২) মনু—ত্রিপুরা পৰ্ব্বতান্তর্গত সঙ্খলং পাহাড় হইতে নির্গত হইয়া উত্তর পশ্চিমাভিমুখে প্রবাহিত হইয়া মন্থমুখে কুশিয়ারাতে পতিত হইতেছে। উৎপত্তি স্থান হইতে ইহার দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০ মাইল। তীরবর্তী স্থান—কৈলাসহর, তীরপাশা, কদমহাট,' মৌলবী বাজার, আখাইল কুড়া প্রভৃতি। (ক) ইহার প্রধান উপনদী—ধলাই। ধলাই নদী ত্রিপুরা পৰ্ব্বত হইতে নির্গত হইয়া উত্তরাভিমুখে ধাবিত হইয়া মনুর সহিত মিলিত হইতেছে। দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ মাইল। তীরে—কমণ গঞ্জ। (৩) খোয়াই—প্রাচীন ক্ষমা নদী। ত্রিপুরা পৰ্ব্বত হইতে নির্গত হইয়া, উত্তর পশ্চিমাভিমুখে প্রবাহিত হইয়া হবিগঞ্জের সন্নিকটে বরাক নদীতে পতিত্ব