:শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। [ २ब्र उl: २ग्न १ وقميb কাৰ্য্য করিতে হইত। ইহারা সম্রাস্ত বংশীয় ও স্বশিক্ষিত ছিলেন, প্রধানতঃ সীমান্ত রক্ষার উদ্দেশ্যে তাহদের অধীনে একাধিক ‘নায়েব’ থাকিতেন । ফৌজদার, পরিবর্তন সময়ে কখন কখন সঙ্ঘর্ষ উপস্থিত হইত। (নবাব । শুকুরুন্না ও হরকৃষ্ণের যুদ্ধ বিবরণ তাহার উদাহরণ। ) তদ্ব্যতীত দিল্লী হইতে রাজস্ব বিভাগের উচ্চ কৰ্ম্মচারী “দেওয়ান” নিযুক্ত হইতেন । সম্রাট শের শাহের সময়ে শ্রীহট্রে আনন্দ নারায়ণ নামে এক দেওয়ান ছিলেন বলা গিয়াছে, ঐ বংশে দেওয়ান মুক্তারাম, দেওয়ান মাণিক চাদ প্রভৃতি জন্ম গ্রহণ করেন, ইহাতে বোধ হয় যে, ঐ পদ উত্তরাধিকারিত্ব ক্রমে প্রদত্ত হইত। কালেক্টরীর কাগজ পত্রে দেওয়ান গোলাব রাম বলিয়া ত্রক ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়, (ইনি বাহাদুরপুর পরগণাস্থ গোবিন্দরাম পণ্ডিতকে ১৭৭৭ খৃষ্টাব্দে শাহবাজপুর হইতে সাড়ে পাঁচ হাল ভূমি ব্ৰক্ষত্র দেন। ) এই দেওয়ান ভিন্ন বংশীয় ছিলেন। দেওয়ানী পদের ন্যায় কানুনগো পদও উত্তরাধিকারিত্ব স্থত্রে প্রদত্ত হইত, ইহার উদাহরণ আছে । আমিল পদ স্বষ্টির পূৰ্ব্বে কানুনগোগণই দেশের দণ্ডমুণ্ডের কৰ্ত্ত ছিলেন, পরে তাহদের ক্ষমতা হ্রাস করা হয় । তখন রাজস্ব ও জমির বন্দোবস্তের জন্য স্থানে স্থানে কাহ্নগে-কাৰ্যালয় স্থাপিত হয় ; সদর শ্ৰীহট্ট, ইটা, লংলা, তরফ, প্রভৃতি স্থানে কানুনগো কাৰ্য্যালয় ছিল। পরবর্তীকালে কানুনগো পদই রাজস্ব বিভাগে শ্রেষ্ঠ পদ ছিল। পাটওরিগণ ইহাদের সাহায্যকারী ছিলেন। দস্তিদারদের ক্ষমতাও অল্প ছিল না, রাজকীয় দলিল ও দান পত্রাদি মোহরাঙ্কিত করিয়া তাহারাই বাহাল করিয়া দিতেন, ভূ-পরিমাপে তাহাদের সল ব্যবহৃত হওয়ার বিধান ছিল,—আজিও আছে। কাজিগণ শাসন ও বিচার সংক্রান্ত কৰ্মচারী ছিলেন, ইহাদের অধীনে কিছু কিছু সৈন্যও থাকিত, তরফ প্রভৃতি স্থানে কাজির কার্য্যালয় ছিল। তদ্ব্যতীত বিচার বিভাগে মুফতিগণ মোহাম্মদীয় আইনের ব্যাখ্যা করিতেন এবং হিন্দু ব্যবস্থা নিৰ্দ্ধারণার্থে জনৈক পণ্ডিত নিয়োজিত থাকিতেন। বিভিন্ন পরগণায় হিন্দুদের বিধি ব্যবস্থা নির্দিষ্ট পণ্ডিতগণ দিতেন। ইহার রাজপণ্ডিত বলিয়া গণ্য