পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম অধ্যায় । ] তরফের কথা । ?a ☾ কিংবদন্তী যে, তিনি হঠাৎ রাজপদ লাভ করায় ‘আচাক’ বা “আচম্বিত’ নামে খ্যাত হন।* কথিত আছে,—উত্তরে বরাক নদী, পূর্বে ভাতুগাছের পাহাড়, দক্ষিণে বেজোড়া পরগণা, পশ্চিমে উত্তর লাখাই, এই চতুঃসীমান্তর্গত ( আঠার মোড়ার ) রাজপুর নামক স্থানে ইহার রাজধানী ছিল। আচাক নারায়ণ ত্রিপুরেশ্বরের আশ্রিত নৃপতি ছিলেন বলিয়। কথিত আছে।+ যাহা হউক তৎকালীন অন্যান্য স্বাধীন নৃপতি অপেক্ষ তাহার প্রভাব কোন অংশেই অল্প ছিল না । রাজা আচাক নারায়ণ সম্বন্ধে তরফ অঞ্চলে এখনও অনেক গল্প শ্রুত হওয়া যায়। কথিত আছে যে তিনি বৈষ্ণব ধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন । পুণ্যপ্রদ বরবক্র ( বরাক ) নদ তাহার রাজধানী হইতে অনেক দূরে থাকিলেও তিনি দ্রুতগামী

  • কোনও পণ্ডিত দেশভাষায় কথিভ আচাক শব্দটী শুদ্ধ করিতে গিয়া “আচক্র” শব্দ

ব্যবহার করিয়াছেন ; কাজেই রাজার নামকে তিনি আচক্র নারায়ণ করিয়া ফেলিয়াছেন। সৈয়দ আবদুল আগফর কৃত তরফের ইতিহাসের ৩১ পৃষ্ঠায় লিখিত হইয়াছে—“অকস্মাৎ এবং বিস্ময়কর এই উভয় শব্দের যৌগিক অর্থ স্থলে এদেশের সাধারণ লোকের আচাক ( বা আচানক ) শব্দ ব্যবহার করিয়া থাকে। অজ্ঞাত কুলশীল এক ব্যক্তি অকস্মাৎ উপস্থিত হইয়া দেশ অধিকার করায় এবং অকস্মাৎ ব্যাপার সম্পাদন হেতু তিনি আচাক নারায়ণ নামে খ্যাত হইয়াছিলেন ।” এই কথার সহিত গৌড়গোবিন্দ রাজার আবির্ভাবের সাদৃশ্য পাঠক স্মরণ করিয়া দেখিবেন । ণ আচাক নারায়ণ ত্রিপুরেশ্বরের আশ্রিত রাজা ছিলেন, সন্দেহ নাই । আইন-ইআকবরি গ্রন্থে লিখিত আছে—“ভাট প্রদেশের সন্নিকটে 'তিপ্রা’ নামে এক স্বাধীন রাজ্য আছে। যিনি রাজা হন, তাহার উপাধি মাণিক । সেই রাজ্যের আমীর ওমরাহগণ “নারায়ণ উপাধি প্রাপ্ত হইয়া থাকেন। ”—( বসুমতীর প্রকাশিত অনুবাদিত পুস্তক । ) তরফের মুদ্রিত ইতিহাসের ৩২ পৃষ্ঠায় লিখিত আছে —“আচাক নারায়ণ যে ত্রিপুরাধিপতির করদ কি সংস্থঃ ছিলেন, তাহাতে আর সন্দেহ নাই ; তৎকালে যিনি যে দেশের শাসনভার প্রাপ্ত হইতেন, তিনি সেই দেশের রাজা বলিয়া সাধারণের নিকট পরিচিত এবং थाङ श्ईएउन।" ર૭