পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

') ) {9 ঐহটের ইতিবৃত্ত। [ २ब्र उiः २१ ५: শাহী, ভাগলপুর, ঔরঙ্গপুর প্রভৃতির জমিদারবর্গ ত্ৰাসিত রহিতেন, কোন কারণে একদা যিনি ঔধদপুরের জমিদারকে ধৃত করিয়া আনিতে অকুমাত্র ইতস্তত করেন নাই, ন্যায়ের অনুরোধে,—আশ্রিত ও প্রপীড়িতকে রক্ষার জন্য মোতিওর রহমান সেই দুৰ্দ্ধৰ্ষ আহমদ রজ ও তাঁহার সহোদর হামিদরজা এবং অপর ভ্রাতৃবর্গের প্রতিকূলে একাকী উখিত হইলেন। তাহার উদ্যোগে আলীরজা দিল্লী হইতে চৌধুরাই সনন্দ প্রাপ্ত হইলেন। কেবল তাহাই নহে, মোতিওর রহমান অতঃপর আলীরজার প্রাপ্য সম্পত্তির অংশ উদ্ধার করিয়া দিতে প্রতিকার করিতে লাগিলেন। মোতিওর রহমানের এই কার্ষে ভীষণ বিপদ ডাকিয়া আনিল, নয় অানির জমিদারগণ তাহার কার্থে বিজাতীয় ক্ৰোধে জলিতে লাগিলেন ক্রোধের দারুণ দংশনে অস্থির হইয়া সপুত্র মোতিওর রহমানকে তাহারা সংহার করিতে কৃতসঙ্কল্প হইলেন। তখন যুদ্ধের আস্থরিক আয়োজন হইতে লাগিল। খোন্দকার এই সময় যুদ্ধোদ্যোগ। নিজ বাটীতে গিয়াছিলেন, তিনি তরফের নবাবি কাৰ্য্যালয়ে উপস্থিত হইলেই হত্যা করা হইবে, স্থির হইল। মোতিওর রহমান এই সংবাদ শুনিতে পাইলেন, কিন্তু বিশ্বাস করিলেন না। নবাবি কাছারী আক্রমণ করিয়া, কৰ্ম্মচারীকে লাঞ্ছিত করিতে পারে, এমন সাধ্য কাহারও নাই ; এই ভাবিয়া তিনি তরফে গমন করিলেন। এদিকে পূৰ্ব্ব পরামর্শায়ুসারে জমিদারগণ যুদ্ধার্থে প্রস্তুত হইলেন ; আহমদরজা স্বয়ং ধতুৰ্ব্বান ধারণ করিলেন, হামিদরজার দুই হাতে দুখান তীক্ষুধার তরবারি জলিতে লাগিল এবং পৃষ্ঠদেশে সচন্দ্র বৃহৎ ঢাল শোভা পাইল। এইরূপে আহমদ রজস্বয়ংসেনাপতি বেশে বহুলোক লইয়া যাত্রা করিলেন। ভাবানীদেব ও সাহেবরাম নামক দুই ব্যক্তি কতক খাসিয়া সৈন্তের অধিনায়ক রূপে র্তাহাজের সহিত চলিল। লাখু ও বাখর মোহাম্মদ বরকন্দাজ সৈন্তের ভার পাইয়া সমর সাঙ্গে ধাবিত হইল। শফরউদ্দীন কাড়াদার রণবাদ্য ( কাড়া ও ঢাক প্রভৃতি ) বাজাইয়া অগ্রে অগ্রে সদলে চলিল। এইরূপে তাছাৱা নবাৰি কাছারীর সন্নিকটবর্তী হইল।