পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - - -ظ Զ ՉԵ, শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। ,[ २१ उiः २ग्न * -चट्, আত্মকলহ, অলসতা, দম্ভ প্রভৃতি ত্যাগ করিতে পারিতেন, তখনও, যদি বিশ্বাসগণের উপর অযথা বিশ্বাস স্থাপন না করিয়া নিজের কাজ কৰ্ম্ম দেখিতেন, তাহা হইলে এত শীঘ্ৰ দারিদ্রের চরমসীমায় উপস্থিত হইতেন না। বিশ্বাস উপাধি বিশিষ্ট কৰ্ম্মচারীর * তখন সৰ্ব্বময় কর্তা হইয়া উঠিয়াছিল ; এবং তাহদেরই সৌভাগ্য বশতঃ এই সময় জমি বিক্রয় সৈয়দদের ব্যবসায় হইয়া দাড়াইয়াছিল। * „ ক্রেতাগুণ জমি ক্রয়ের चत्रे উপস্থিত হইলে সৈয়দগণের দেখা প্রায়ই পরবর্তী পাইত না। বিশ্বাসদের সহিতই মূল্যাদির কথা কথা ! হইত। উৎকোচ সঙ্কোচ নাশক,—উৎকোচ বলে স্বার্থপর বিশ্বাসগণকে তাহারা বশীকৃত করিত ও তাহদের পরামর্শে পরিচালিত সৈয়দগণের নিকট হইতে সহস্র টাকা মূল্যের সম্পত্তি সচ্ছন্দে দুই তিন শত মুদ্রায় ক্রয় করিতে সক্ষম হইত। কেবল তাহাই নহে,—ক্রীত এক হাল ভূমির স্থলে নিরাপত্তিতে দশ হাল করায়ত্ত করিয়া লইত। মুদি ও বস্ত্র বিক্রেতা প্রভৃতি ব্যবসায়ীগণ ধারে ক্রমাগত দ্রব্যাদি যোগাইত, এবং বংসরান্তে মূল্য ও তাহার অত্যাধিক স্বদ ধরিয়া, তৎপরিমাণে ভূমি গ্রহণ করিত। উদাহরণ স্বরূপ মুরপুর নিবাসী কাজী এনায়েত উল্লার নাম করা যাইতে পারে। এই ব্যক্তি ইতঃপূর্বে মুর্শিদাবাদ হইতে ছুরি, কাচি, তরবারি,. বাক্স প্রভৃতি আনয়ন করতঃ সৈয়দগণকে উপহার দিয়া যে প্রভূত ভূসম্পত্তি লাভ করে, দশসনা বন্দোবস্তের সময় তাহা পৃথক তালুকরুপে পরিগণিত হয় । o • ঐচৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থের মধ্য খণ্ডের ১৬ পরিচ্ছেদের ব্যাখ্যায় পণ্ডিতবর বাম নারায়ণ বিদ্যারত্ব “বিশ্বাস" শব্দের অর্থ পরিদর্শক কৰ্ম্মচারী লিখিয়াছেন। তরফ, বাণিয়াচঙ্গ প্রভৃতি স্থানের বিবরণে বিশ্বাসদের কার্য্যপটুতার পরিচয় পাওয়া যায়। পরিদর্শন ব্যতীত তাহাদের আরও অনেক বিষয়ে ক্ষমতা ছিল। ইহার অনেক সময় মন্ত্রীর স্তায় মন্ত্রণ দিতেন ও আয় ব্যয়ের ব্যবস্থা করিতেন বলিয়া অবগত হওয়া যায়।