)●b अश्मैत्र ६ङिठूख । [ २ग्न डॉः ५ग्न थः রাজার সৈন্যসংখ্যা প্রতিক্ষণে ক্ষয় পাইতে লাগিল, কিন্তু এক প্রাণীও পৃষ্ঠ প্রদর্শন করিল না। ইটার উদীয়মান তপন অস্তমিত হইল, রাঙ্গ সেই যুদ্ধে নিহত হইলেন ! সেনাগণ একে একে যুদ্ধক্ষেত্রে নিপতিত হইল, যুদ্ধ আর কে করিবে ? পথ আর কে অবরোধ করিবে ? দেখিতে দেখিতে পাঠান সেন রাজবাটি প্রবিষ্ট হইল । পৌরজনকে যেন কেহ অপমানিত না করে, এই জন্য খোয়াজ সৈন্য মধ্যে আদেশ প্রচার করিলেন। তিনি রাণী কমলা সুন্দরীকেও জানাইলেন যে, কন্যা ও পুত্ৰগণের সহিত সেচ্ছ পূৰ্ব্বক তিনি আত্ম সমর্পণ করিলে তাহার পক্ষে ভাল হইবে । তাহার প্রতি কোনরূপ অত্যাচার হইবে না এবং অনুগ্রহের নিদর্শন স্বরূপ সম্রাটের জন্য কেবল কন্যাকে গ্রহণ করা হইবে। হিন্দু-কুল-কামিনী কমলারূপিনী কমলা স্বন্দরী কিছুতেই এই ঘৃণ্য প্রস্তাবে সন্মত হইলেন না ; হিন্দু মহিলা মরিতে জানে, কমলার চরম সঙ্কল্প তাহাই। খোয়াজ বিবেচনার জন্য রাণীকে দুই দিন সময় দিয়া আমোদাহলাদে বৃত হইলেন । তুই দিনের অবসর পাইয়। রাণী পরমানন্দিত হইলেন এবং স্বামীর চিত। প্রস্তুত করিয়া, হিন্দু সতীর পরম ব্রত সহমরণ’ অবলম্বনে সকল জাল নিবাইলেন। ভানুমতীও বিষ ভক্ষণে কুল রক্ষা করিলেন। দুৰ্ব্বত্ত দুরাকাজের দুৰ্ব্বাসনার আহুতি স্বরূপ অতুলনীয় রূপগৌরব চকিতে বিলীন হইয় গেল ! এই সংবাদ শ্রবণ মাত্র পাঠান খোয়াজ ওসমান শিবির * উঠাইয়া, স্বয়ং রাজবাট প্রবেশ করত: রাজপুত্র চতুষ্ঠয়কে ধৃত করিয়া লইলেন। এই গোলযোগের সময় রাজার ধৰ্ম্ম নারায়ণ, রামচন্দ্র রারায়ণ ও বীরচন্দ্র রাজ ভ্রাতাগণের নারায়ণ নামক ভ্রাতৃত্ৰয় ও অন্যান্য রাজ পলায়ন । বংশীয়গণ ভিন্ন ভিন্ন স্থানে পলায়ন করেন। ধৰ্ম্ম নারায়ণ চৈত্র ঘাট নামক স্থানে গমন করত: এক বাটিক প্রস্তুত ক্রমে বাস করেন, তাহার নামহিসারে ঐ স্থান "ধৰ্ম্মপুর” বলিয়া খ্যাত হয়। ജ=
- রাজ বাটর অব্যবহিত দক্ষিণপূর্ব দিকে “পাঠানটোলা" নামে এক আছে, এই স্থানে খোয়াজের শিবির ছিল বলিয়া উহ। উক্ত নামে খ্যাত হইয়াছে ।
