পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ অধ্যায় । ] &उ**ां८फ़्द्र श्नूि नवांव । ३७०(क) রাধারামও প্রতাপগড়ের পাঁচপণ অংশ পাইলেন বটে, কিন্তু তিনি তাহাতে সন্তুষ্ট হইতে পারলেন না। গোলামরজা চৌধুরীকে তিনি পরম শত্রু জ্ঞান করিতে লাগিলেন ও চরগোলায় চলিয়া গিয়া নিজ আবাস বাটীর উত্তরে এক বৃহৎ বাট প্রস্তুত করিলেন, ম্যাপি সে বাটা “বড়বাড়ী” নামে কথিত হয়। এই সময় তিনি পার্শ্ববৰ্ত্তী পাৰ্ব্বত্য কুকি সর্দারের সহিত মিত্রত স্থাপন করেন। দেখিতে দেখিতে আরও কয়েকটি কুকি সর্দারকে স্বচতুর রাধারাম বশ করিয়া ফেলিলেন। এইরূপে কুকি সর্দারগণ র্তাহার বাধ্য হওয়ায় তিনি শ্ৰীহট্টের পূর্ব দক্ষিণ প্রান্তে এক পরাক্রান্ত পুরুষ বলিয়া পরিগণিত হইলেন। তাহার মতিণতি পরিবর্তিত হইয়া গেল ; ইংরেজদের প্রতি ভীষণ বিদ্বেষ ভাব প্রকাশ করিতে লাগিলেন। সদর দেওয়ানী আদালতের ডিক্রিই এই বিদ্বেষের কারণ বোধ হয়। তিনি কুকি প্রভৃতিকে ইংরেজের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করিয়া তুলিলেন, এবং স্বয়ং স্বাধীন নবাব বলিয়া পরিচয় দিতে লাগিলেন। তিনি বাটীর পাশ্বে বিচারালয়, কয়েদখান, কেল্লা প্রভৃতি স্থাপন করিলেন। রাধারামের দুর্গ ভগ্ন ও জঙ্গলাবৃত্ত অবস্থায় অদ্যাপি “কেল্লাবাড়ী” নামে কথিত হইতেছে। এই সময় রাধারাম ত্রিপুরায় গমন করিয়া মহারাজ দুর্গা মাণিক্যের সহিত দেখা করেন। দুর্গ মাণিক্য তাঁহাকে সাদরে গ্রহণ করতঃ সম্মানিত করেন এবং চরগোলা প্রভৃতি স্থানের মহারাজের যে ভূসম্পত্তি ছিল, তাহার শাসনভার অর্পণ করেন। ইতিপূৰ্ব্বে মহারাজের वtनक কৰ্ম্মচারী তথায় বাস করিতেন ; এখনও লোকে তাহার বসতির স্থান নির্দেশ করিয়া থাকে | স্বাধারাম কোম্পানীর রাজস্ব দিতেন না, মহারাজকেও কিছু দেওয়া