পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ss* श्रथTांग्न । ] প্রতাপগড়ের হিন্দু নবাব। ミyg ওলী মোহাম্মদ র্তাহাকে পুত্রবৎ স্নেহ করিতেন। তিনি নিজ ক্ষমতায় প্রভূত ভূসম্পত্তি আয়োজন করেন। * দশসনা বন্দোবস্তের কালে যখন মৌলিক সম্মান ও দস্তখতের নূতন ব্যবস্থা হয়, তখন ওলী মোহাম্মদের পুত্র নবিনওয়াজ চোধুরীর নামে জফরগড়ের ৪০ নম্বর তালুকের নাম হয়, কামুরাম চৌধুরী নিজ নামে ৪১ নম্বর তালুক বন্দোবস্ত গ্রহণ করেন। ঐ সময় শ্ৰীহট্টে প্রসিদ্ধ লালা আনন্দরাম বন্দোবস্তের সৰ্ব্বোচ্চ কৰ্ম্মচারী ছিলেন, নিজ তালুকে অত্যধিক রাজস্ব ধার্ঘ্য হওয়ায় কামুরাম শ্ৰীহট্টে গমন করতঃ আনন্দরামের স্ত্রীকে মাতৃ সম্বোধন করেন এবং ধৰ্ম্মমাতার যত্নে ঐ তালুকের রাজস্ব অনেকটা কমাইয়া আনিয়াছিলেন।+ ایی কামুরাম ধৰ্ম্মপরায়ণ ব্যক্তি ছিলেন, তিনিই ঠাকুর শাস্তরাম নামক জনৈক বৈষ্ণব মহাত্মাকে এদেশে আনয়ন ক্রমে সৰ্ব্বপ্রথম বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের বীজ বপন করেন। ইহঁর দুই পুত্র, তন্মধ্যে গৌরচন্দ্র চৌধুরী দেশ পূজিত ছিলেন, র্তাহার পুত্র উদার চরিত্র অদ্বৈত চরণ চৌধুরীই লেখকের জন্মদাতা। সে যাহা হউক, গবর্ণমেণ্টের সহিত বিবাদ উপস্থিত হইলে ‘নবাব রাধারাম কামুরামের বিশেষ চিন্তিত হন, কিন্তু তাহার অত্যাচার কমে নাই । বিপদ । এই সময় কয়েকটি ব্যভিচার পরায়ণ অপরাধী স্ত্রী পুরুষকে জোড়ে জোড়ে একত্র বন্ধন করিয়া গুলি করেন। সৰ্ব্ব পশ্চাতে একটি • কামুরাম চৌধুরীর অপর ভ্রাতৃত্ৰয়ও বিশেষ ক্ষমতাশালী ছিলেন, জফরগড় পরগণার কিয়দংশ ও সমগ্র প্রতাপগড় পরগণা মৈনার চৌধুরীদের অধিকারভুক্ত হয়, তাহাদের কীৰ্ত্তিকাহিণী তৃতীয়ভাগে ( বংশবৃত্তান্তে ) কথিত হইবে। দশসনা বন্দোবস্তের পাঁচ বৎসর পরে তিনি প্রতাপগড়ের মোসলমান জমিদার হইতে ১৭৯৯ খৃষ্টাব্দে (৫ই জৈষ্ঠ) এবং ১৮০০ খৃষ্টাব্দে ( ১৪ই રૂનાવ তারিখ যুক্ত ) দুই খণ্ড কবাল দ্বারা ৩৩ এবং ৩৫ নং তালুকের নয় পণ অংশ ক্রয় করিয়াছিলেন, এই কবালাদ্বয় এখনও আছে ; ইহাতে প্রাচীন রীতি অনুসারে ভূমির স্বত্ব ত্যাগের সহিক্ত " ইজ্জত " " রিয়াসত ” ও “ দস্তখত " বিক্রয় করা গেল বলিয়া লিখিত আছে। এই তালুকয়ের নয় পণের অতিরিক্ত অংশও চৌধুৰী মহাশয় সংগ্ৰহ করিয়া লইয়াছিলেন।