পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৬ শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । [ २ध्र डॉः ५ ५: স্ত্রীলোক ছিল, দৈবক্রমে সে বাচিয়া যায়। রাধারাম তাহাকে কাটিয়া ফেলিতে উদ্যত হইলে সে সহিজা বাদশাহের দোহাই দেয়। রাধারাম রাগবশে তাহা অগ্রাহ করিয়া সেই স্ত্রীলোককে বধ করেন। সহিজাকে অগ্রাহ ক্ষরিয়াছেন বলিয়া পরীক্ষণেই তাহার অনুতাপ হয় । রাধারামের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, সহিজার কুপাই তাহার উন্নতির মূল। নিজ দোষে এই বিপদ কালে দৈববশে তিনি সহিজাকে অগ্রাহ করিয়া ভীত হইলেন। এখন উপায় কি ? এ বিপদে আর কে তাহাকে রক্ষা করিবে ? রাধারাম ভাবিলেন, মা ছেলেকে কদাপি ত্যাগ করে না, তিনি জগন্মাতা কালীর পূজা করিয়া, র্তাহারই প্রসাদে রণজয় করিবেন। রাধারাম ১০৮ কালীপূজা করিতে সঙ্কল্প করিলেন। সমস্তই প্রস্তুত, কালী সন্নিধানে নরবলির ব্যবস্থা হইল। রাধারাম কল্পিত শক্র—স্বীয় বন্ধু কামুরামকে বলি দিয়া কণ্টক শূন্য হইতে মনে করিলেন। তখনও কামুরাম চৌধুরীর সহিত প্রকাশ্য বিরোধ ঘটে নাই । পূজার উপলক্ষে কাহরাম চৌধুরীকে নিমন্ত্রণ করা হইল। বিজয় নামক কৃত-দাস ও দুইটি মোসলমান সর্দার সঙ্গে কামুরাম চৌধুরী নিমন্ত্রণ রক্ষার্থ গমন করেন। রাধারাম পরম সমাদরে তাহাকে অভ্যর্থনা করিলেন ; কামুরাম রাধারামের অভিসন্ধি কিছুই বুঝিতে পারিলেন না। 韩 সন্ধার পর হইতেই বহুতর পাঠা যথাস্থানে আনয়ন করিয়া রাখা হইতে লাগিল। ঐ সময় বিজয় ভৃত্য কোন স্বত্রে জানিতে পারিল যে, তাহার প্রভুকেই করাল-বদনার সদনে বলিদানের আয়োজন হইতেছে। বিজয়ের শরীর কম্পিত হইল, সে ছলক্রমে স্বীয় প্রভুকে কিছুকালের জম্য বাসায় লইয়া আসিল । কামুরাম বিজয়ের মুখে সেই ভীষন সংবাদ শুনিলেন ; তাহার প্রাণ কাপিয়৷ উঠিল, দেহ অবশ হইল, কিছুই স্থির করিতে পারিলেন না। তখন স্থলপথে চরগোল যাওয়া যাইত না, দু-আলিয়া পাহাড় দিয়া লোক চলাচলের রাস্ত ছিল না। শতাব পূৰ্ব্বে ঐ অঞ্চল যেরূপ ঘন বন সমাকীর্ণ ছিল, তথায় যেরূপ ব্যাঘ্ৰ, মহিষ, ভল্লুকাদির ভয় ছিল, তাছুতে কোন মনুষ্যই , জীবনে জলাঞ্জলি দিয়া সে বনে প্রবেশ করিত না। বলশালী বিজয় উপায়স্তর