পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম অধ্যায়। ] I আদি নৃপতিগণ। A T SSAAAAS SAAAAAA AAAAMS CS AAAAAS AAAAASAAAA ജ. ജമ്മ ബ് আবার কেহ কেহ বামজজ্ঞাপীঠকে আঁকড়িয়া ধরা ষে একটি মূৰ্ত্তি দেখা যায়, উহাকেই ক্রমদীশ্বর ভৈরব বলেন । সে যাহা হউক, রূপনাথ আবিষ্কৃত হইলে মহারাজ রূপনাথের দক্ষিণদিকে এক পাকা মন্দির প্রস্তুত করিয়া দিলেন। কথিত আছে, স্বপ্নাদেশ হওয়ায় মহাদেবকে আর মন্দিরতলে লইয়া যাওয়ার চেষ্ট হইল না। মন্দির শূন্ত পড়িয়া রহিল; তদবধি রূপনাথ তৃণকুটীরেই অবস্থিতি করিতেছেন। রূপনাথের এই কুটার খাসিয়া রমণীগণ প্রস্তুত করিয়া দিয়া থাকে, পুরুষদের নিৰ্ম্মাণাধিকার নাই। । জয়ন্তীয়াধিষ্ঠাত্রীর মহিমা অত্যন্ত্র কালেই চতুর্দিকে প্রচারিত হইল ; দলে দলে সাধু সন্যাসীগণ দেবী দর্শনে আসিতে লাগিলেন। মহারাজ দেবস্থানের মুশৃঙ্খলা করিয়া দেওয়ায় সৰ্ব্ববিষয়েই স্থব্যবস্থা হইল। মহারাজ দেবীর সেবায় সমস্ত জয়ন্তীয় রাজ্য উৎসর্গ করিলেন, দেবীর নিয়মিত সেবা নিৰ্ব্বাহাৰ্থ কোনরূপ দেবত্র দিলেন না, বলিলেন—“মায়ের চরণাঙ্কিত ও স্বনামীয় এই রাজ্যই তাহার,—ভিন্ন বন্দোবস্তের আবশ্বক কি” ? সুতরাং রাজভাণ্ডার হইতে সাক্ষাৎভাবে দেবীর সেবার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি প্রেরণের ব্যবস্থা হয়। ধৰ্ম্মাত্মা বড় গোসাঞির এ অনুজ্ঞায় পরবর্তী রাজগণও অবহেলা প্রদর্শন করেন নাই। জয়ন্তীয়ায় বহুতর দেবতার জন্য দেবত্রদানের ব্যবস্থা হইলেও, শাস্ত্রোক্ত এই প্রাচীন মহাপীঠের জন্য কোনরূপ দেবত্র প্রদত্ত হয় নাই। বড় গোসাঞির পর বিজয় মাণিক (সম্ভবতঃ ) ১৫৬৪ খৃষ্টাব্দে সিংহাসনারোহণ করেন। র্তাহার সময়ে ত্রৈপুর-রাজবংশেও বিজয় মাণিক্য নামে প্রবল পরাক্রান্ত এক রাজা রাজত্ব করিতেন । এই বিজয়মাণিক্য প্রখ্যাতকীৰ্ত্তি রত্নমাণিক্যের ষষ্টপুরুষ স্থানীয়। టరి খৃষ্টাব্দে তিনি রাজ সিংহাসনে আরূঢ় হন, ইহার পরাক্রমের সংবাদ শ্রবণে জয়স্তিয়াপতি স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া তৎসহ মৈত্রী স্থাপন করিয়াছিলেন। ত্রিপুরার ইতিহাস রচয়িতা বর্ণনা করিয়াছেন,—“জয়ন্তীয়াপতি নানাপ্রকার উপঢৌকন প্রদান পূর্বক ত্রিপুরেশ্বরের কৃপা প্রার্থনা করেন। জয়ন্তীয়ারাজের বিনয় ও ভক্তিতে বাধ্য হইয়া মহারাজ বিজয়মাণিক্য প্রসাদস্বরূপ র্তাহাকে একটি হস্তী প্রদান করেন । মহারাজ বিজয়মাণিক্য রাজধানীতে জয়ন্তীয়াপতি ও ত্রৈপুর-নৃপতি।