পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । [ ২য় ভাঃ ৪র্থ খঃ লক্ষ্মীনারায়ণের পরে রামসিংহ জয়ন্তীয়ার রাজসিংহাসনে আরোহণ করেন । ১৬৯৪ হইতে ১৭০৪ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত ইহার রাজত্বকাল। প্রতারণা পূৰ্ব্বক পর সম্পত্তি গ্রাস করিতে প্রয়াস পাইলে কিরূপ প্রতিফল পাইতে হয়, তদুদাহরণে ইহার কাহিনী পূর্ণ। কাছাড়রাজ তাম্রধ্বজের কিঞ্চিৎ পূৰ্ব্ব হইতে হৈড়ম্ব (কাছাড়) পতিগণ আসামের আহোম নৃপতির করপ্রদ রাজা স্বরূপ ছিলেন। তাম্ৰধ্বজ কর usena, প্রদান করা রহিত করেন। ইহাতে আহোম রাজ রুদ্ৰসিংহ প্রতি জয়ন্তীয়া- (সুক্ৰংফা) ১৭০৬ খৃষ্টাব্দে ডিসেম্বর মাসের শেষাংশে "" । কাছাড়রাজ্য আক্রমনার্থ দুইদল সৈন্য প্রেরণ করেন। ভয় দলে প্রায় সপ্ততি সহস্র সৈন্য ছিল একদল সৈন্ত রহ দুর্গের পথে এবং অপর দল ধনশিরী ( ধনশ্ৰী ) নদীতীর পথে ধাবিত হয়। ইহারা অতি সহজেই কীৰ্ত্তিপুর (মাইবঙ্গ ) অধিকার করিল। তাম্ৰধ্বজ পলায়নপূৰ্ব্বক কাছাড়ের সমতলস্থিত খাসপুরে গমন করেন। জয়ন্তীয়াপতি রামসিংহের সহিত তাম্ৰধ্বজের প্রতিবন্ধন ছিল ; খাসপুর আসিয়াই তিনি সত্বর রামসিংহের সহায়তা প্রাপ্তির প্রত্যাশায় তৎসকাশে দূত পাঠাইলেন। এদিকে জ্বর ও আমাশয় পীড়া সংক্রামক ভাবে আহোম সৈন্যদিগকে আক্রমণ করিলে, তাহার কাছাড় পরিত্যাগ করতঃ চলিয় গেল । অতঃপর রামসিংহের সাহায্য গ্রহণের আবশ্বক নাই, ভাবিয়া তাম্ৰধ্বজ তাহাকে জানাইলেন। কিন্তু তিনি অবসর পরিত্যাগের পাত্র ছিলেন না, তাই সে কথায় কর্ণপাত না করিয়া খাসপুরে আগমন করিলেন। ত্রিপুরার ইতিহাসে লিখিত হইয়াছে—“জয়ন্তীয়ারাজ একখানি উৎকৃষ্ট ও বৃহৎ নৌক প্রস্তুতপূর্বক তদারোহণে খাসপুরে গমন করেন। তিনি মহারাজ তাম্ৰধ্বজকে বলিলেন, ‘বন্ধো! আমি এই নৌকা আপনার জন্য প্রস্তুত করাইয়াছি, আসুন আমরাউভয়ে ইহাতে একবার আরোহণ করি’। সরলচিত্ত তাম্ৰধ্বজ সেই নৌকায় আরোহণ করিলে, কপটমিত্র জয়ন্তীয়াপতি তাহাকে বন্ধনপূর্বক বরবক্রের প্রবল স্রোতে নৌকা ছাড়িয়া দিলেন। কাছাড়-পতির সৈন্যগণ আশ্চৰ্য্য ঘটনা দর্শনে ধনুৰ্ব্বাণ হস্তে দণ্ডায়মান হইল। তাম্ৰধ্বজ হস্তসঞ্চালন দ্বারা তাহাদিগকে