পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৬১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ অধ্যায় । ] বিবিধ কথা । 宽定》 ইহাদের মধ্যে বিধবা-বিবাহ ও বিবাহ-চ্ছেদ প্রথাও প্রচলিত আছে । বিধবা-বিবাহের নাম “সেঙ্গ।” এক খানা পাণ ছিড়িয়া ফেলিয়া “নিকাশ” শব্দ উচ্চারণ করিলেই বিবাহ বন্ধন ছিন্ন হইয়া যায়। ইহাদের মধ্যে স্ত্রী-পুরুষ সকলেই পরিশ্রমী,—ভিক্ষুক সংখ্যা নাই বলিলেই হয়। “প্রমীলার রাজ্যে” পুরুষাপেক্ষ স্ত্রীলোকের অত্যাধিক সুত্র ও স্মৃতিবিশিষ্ট। * ইহারা অতিশয় অলঙ্কার প্রিয়া। খাসিয়া রমণীগণ ওজন বিশিষ্ট স্বর্ণহার অধিক ভালবাসে । জয়ন্তীয়ায় স্বর্ণকারদের ব্যবসায় এক সময় বিশেষ লাভজনক ছিল এবং এই শিল্প বিশেষ উৎকর্ষতা লাভ করিয়াছিল । { জয়ন্তীয়ার রাজার হিন্দুধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন । ইহঁাদের মধ্যে অধিকাংশই শাক্ত এবং কেহ কেহ বৈষ্ণব ধৰ্ম্মেও আস্থাবান ছিলেন । রাজা রাজেন্দ্র সিংহের বৈষ্ণবতা বিশেষরূপে খ্যাত হইয়াছিল। জয়ন্তীয়ায় দুর্গোৎসব পৰ্ব্ব মহাসমারোহে সম্পাদিত হইত ; এই সময়ে নরবলি দানের প্রথা ছিল। মহাবিষুব সংক্রাস্তিতেও রাজার বিশেষ আড়ম্বর করিতেন। পাৰ্ব্বত্য খাসিয়াদের মধ্যে ধৰ্ম্মহীন গোখাদক থাকিলেও, ধৰ্ম্ম ।

  • এই বিষয়ে একটি প্রবাদ-বাক্য আছে যথা :–

“পান পানি নারী, তিনে জয়ন্তীয় পুরী।” বাংলা পাণ হইতে খাসিয়া পাণ উৎকৃষ্ট, জয়ন্তীয়ার নদীগুলি সুজলা (—সারি নদীর সুনিৰ্ম্মল জলের তলস্থ বিচরণশীল মৎস্ত সুস্পষ্ট দেখা যায় ), এবং নারীগণ বিশেষ কাস্তিবিশিষ্ট । + জয়ন্তীয়ায় রমণীগণ সাধারণতঃ যে সকল অলঙ্কার ব্যবহার করে, তাহার নাম — ১ । লং-—উপরকাণের অলঙ্কার। স্বর্ণনিৰ্ম্মিত, লংএর আকৃতি । ২ । ছুচী—নিম্ন কাণের অলঙ্কার। (স্বর্ণনির্শ্বিত ) ৩ । (ক) প্রবাল খচিত স্বর্ণমালা, | (খ) স্বর্ণময় গল্লার গোটা, *Em (গ) মোহনমালা (ঘ) কণ্ঠি, | ৪ । নথ, বেশর ও ফুল । ( স্বর্ণময় ) নাকের অলঙ্কার । ৫ । শাখা—রৌপ্যনিৰ্ম্মিত হাতের অলঙ্কার । ७ । वांश्मिमएँी, कदल, शंङ*ांझेो,-वांछ्ङ्ग अलझांझ । ৭ । খাড় ও পাজের—পায়ের অলঙ্কার। ৮ । মাঠী-শিশুদের পায়ের অলঙ্কার । . এতদ্ব্যতীত ‘হাসলি’ প্রভৃতি আরও দুই চারি পদ অলঙ্কার ব্যবহার করিতে দেখা যায়। : গলার অলঙ্কার ।