পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৬৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ग्न अश्वJांध्र ! ] বিবিধ। &&. তদ্ব্যতীত সাইরাং ও চাঙ্গশীল সৈনিক নিবাস। টিপাইমুখ ও লুশাই হাটই প্রধান বাণিজ্য স্থান । সে যাহা হউক, কুকিদের অত্যাচার হইতে প্রজা রক্ষার্থে শ্রীহট্টের দক্ষিণ অংশে লঙ্গাই, আদমপুর ও আলী নগর নামে তিনটি গারদ ছিল, এই গারদ গুলিতে এক একজন হাবিলদার ও কয়েকটি সিপাহী থাকিত, কুকির দমিত হওয়ায় অনাবশ্বক বোধে এই গারদগুলি উঠাইয়া লওয়া হইয়াছে। কুকি সর্দারগণও এখন অনেকেই শাস্তভাব অবলম্বন করিয়াছে। ত্রিপুরেশ্বরের যন্থে তাহার অধীন সামস্ত সর্দারগণ মধ্যে সভ্যতালোক ঈষৎ প্রবেশোম্মুখ হইয়াছে, পূৰ্ব্বোক্ত মুরছুইলালের পুত্র বাণখাম্পূইরাজা বেশ বাঙ্গাল কবিতা লিখিতে পারেন । লুশাই যুদ্ধের প্রসঙ্গে হামিদবথত মজুমদারের নাম অবস্য উল্লেখ যোগ্য। লুশাই সমরে ও তৎপূর্ববর্তী সিপাহী বিদ্রোহের সময় হামিদবধৃত মজুমদার হামিদবথত সাহেব রাজভক্তির বিশেষ পরিচয় দেন, নানারূপে মজুমদার। গবর্ণমেণ্টের সহায়তা করেন। যখন বিদ্রোহী সিপাহীদের আগমনের সংবাদে সহরের ইংরেজগণ ও অধিবাসী সমূহ ভয়ত্রস্ত হইয়াছিলেন, তখন শ্ৰীহট্টের শেষ কানুনগো মোহম্মদবধৃত সাহেবের পুত্র হাজি সৈয়দবধৃত বৃদ্ধাবস্থায় উপনীত হইয়। ছিলেন। তথাপি তিনি স্বীয় জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ হামিবিশ্বত, মজুমদারের সহিত, পৈতৃক ছয়টি কামান লইয়া সহয় রক্ষায় প্রস্তুত হন। কিন্তু সংশয়ের বশবৰ্ত্তী হইয়া গবর্ণমেণ্ট সেই কামান ছয়টি কাড়িয়া লন। শেৰে কামান গুলি ফিরাইয়া দিতে প্রস্তুত হইলেও বৃদ্ধ হাজি সাহেব তাহা. পুনগ্রহণ করেন নাই। কামানগুলি অদ্যপি শ্রীহট্টের কালেক্টরীতে রক্ষিত আছে। সৈয়দবখত, মজুমদার অনেক দিন মক্কায় ছিলেন, এবং তিন বৎসরের জন্য মক্কার সেরিফ কেন্সিলের সদস্য নিযুক্ত হইয়াছিলেন, তুরস্কের স্বলতান ১৮৭৯ খৃষ্টাকে তাহাকে “টার অব মেজিদি উপাধি ও সম্মান স্বচক সনদ জিয়াছিলেন।