পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৬৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግ8 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। [ २ग्न डॉ: 4भ भं: কোম্পানীর লভোর একচতুর্থাংশ প্রদানের প্রস্তাব করিলে, হডসন আর লোভ সংবরণ করিতে পারিলেন না । কিন্তু এই লভোর কথা লিখিত ভাবে ছিল না—মৌখিক ছিল । এইরূপ বন্দোবস্ত করিয়া হারি সাহেব বিলাত যাত্রা করেন, এই যাত্রাই তাহার শেষ যাত্রা হইল ; বিলাত পৌঁছিয়াই ৫৭ বৎসর বয়সে ১৮৬০ খৃষ্টাব্দের ৩১শে জুলাই দীর্ঘবপুঃ দীর্ঘশ্মশ্র স্বগঠিত দেহ হারি সাহেব মানবলীলা সম্বরণ করেন । মৃত্যুর পূৰ্ব্বে তিনি বলিয়াছিলেন যে, তাহার দেহ চেরাপুঞ্জিতে লইয়া গিয়া মাটীর উপরে রাখিয়া যেন সমাহিত করা হয়। এইরূপ সমাহিত করার একটা উদেশ্ব ছিল। তিনি যে সকল স্বাধীন খাসিয়া সর্দার হইতে চুণা মহাল ইজারা আনেন, র্তাহার দেহ যতদিন “মাটর নীচে” না যায়, ততদিন পর্যান্ত সৰ্ত্তভঙ্গ করিতে পরিবে না বলিয়া তাহাদিগকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করাইয়াছিলেন । যাহা হউক তাহার দেহ বহুমূল্য মসল্লার আরকে চিরাপচ্য রাখার মানসে “মমি” (Mummy) করিয়া রাখা হয়। পরে তাহার মৃত্যুর দশ বৎসরান্তে তদীয় পত্নীর মৃত্যু হইলে উভয়ের শবদেহ একত্রে চেরাপুঞ্জিতে আনিয়া কথাতুরূপ রক্ষিত হয়। কিন্তু একত্রে দেহ রক্ষিত হইলেও সোফিয়ার ব্যবহার হিন্দুর নিকট মার্জনীয় নহে। উপযুক্ত পুত্র কন্যার জননী হইয়াও স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি পত্যন্তর গ্রহণ করেন। কথিত আছে, এই জন্য লজ্জায় তাহার প্রথম পুত্র আত্মহত্যা করেন। এই বিবাহের ফলেও সোফিয়ার একটি পুত্র জাত হয় । হারি সাহেবের মৃত্যুর পর তাহার পত্নী কোম্পানীর অধিকারিণী হন, ও শেষ পুত্র কিছু বড় হইলে ভারতবর্ষে আগমন করেন। ছাতক আসিলে মেনেজার কোম্পানীর অধিকারিণী হডসন সাহেব সহ কোম্পানীর লভোর চতুর্থাংশ ও হডসন সাহেব । টাকার বিষয় লইয়া বিরোধ উপস্থিত হয়। হডসন সাহেব শ্রীহট্টের সদর আমিনীতে এই বিষয়ে অভিযোগ করিলে মেম সাহেব জবাব দেন যে, মেনেজারের মাসিক বেতন সহস্র মুদ্র ; ইহাই প্রচুর। তিনি ত অংশী নহেন যে, লভোর চতুর্থাংশ পাইবেন ? শ্ৰীহট্টে মেমের জয় হওয়ায়