পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৭০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:শ্ৰীষ্টটের ইতিবৃত্ত। [ ২য় ভাঃ ৫ম খ وك بty ছিলেন, সাধারণ ঔষধপত্র মুখে মুখে জানিতেন ও সময়ে ব্যবহার করাইতেন। তখনকার স্ত্রীলোকের স্বীয় চরিত্রে ও গুণে যথার্থই লক্ষ্মী রূপিনী ছিলেন।” বিবাহ উংসব বিশেষ ঘটার সহিত সম্পন্ন হইত। বিবাহ কালে বরকেও কাণে কুণ্ডল, মণিবন্ধে বাজুবন্ধ, গলায় হার এবং মাথায় শোলার মুকুট পরিতে । বিবাহ ও হইত। বরের হাতে কোন কোন স্থলে বালা শোডা ভোজন | পাইত। বরযাত্রী ও কন্যাঘাত্রী ধুমধামের সহিত লোক লস্কর লইয়া চলিতেন। উভয় দলে প্রায়ই লাঠিযুদ্ধ হঠত ও তাহাতে জয়লাভ না করিলে বিজিত পক্ষকে অনেক বিদ্রুপ সহ্য করিতে হইত। নিমন্ত্রণে সাধারণতঃ নিরূপিত গুয়াপণ ও সন্ত্রান্ত স্থলে কাটপাণ ও তৈল ন পাঠাইলে নিমন্ত্রণ উপযুক্ত বিবেচিত হইত না। খাওয়াতে রত্যহ্যার উপবেশন করার প্রতি তীক্ষ দৃষ্টি ছিল, ( এখনও অনেকটা আছে । ) গ্রামে কে কাহার অগ্রে, কে কোন ংশের পরে বসিবেন, তাহার একটু ব্যতিক্রম হইত না। খাদ্যে নানারকমের পিঠা ও শ্রীহট্টের বিশেষত্ব বিরণীর ভাতের বাহুল্য ঘটিত। ভদ্র বিশিষ্টগণ (বোধ হয় যবনাইকরণে) লৌহ নিৰ্ম্মিত আধ-হাত উচু “ভোজন বেড়ীর" উপর থালা রাপিয়া খাইতেন ও ডাবরে আমচন করিতেন। পংক্তি ভোজনের বাধ। নিয়ম ছিল, যে সে অনিয়া ভাত পরিবেশন করিতে পারিতেন না, ৰে সে ঘরের মেয়ে দশ নেব জন্য পাক করিতে পাইতেন না। কাহারও সম্বন্ধ একটু খট হইলে জ্ঞাতি গোষ্ঠী দশ জনে সে মেয়ের রাধা পাক স্পর্শ করিতেন না। অন্ন বিচার বড় বেশী ছিল ; অস্নানে কেহই খাইত না । সাধারণতঃ পুরুষের পরিধানে ধুতি, গায়ে চ দর, নিমা, শীতকালে মি জাই ও আঙ্গ রাখা ( অঙ্গরক্ষা) ব্যবহার করিত। এক বস্ত্রে বাড়ীর বাহির হইত পরিচ্ছদ ও না। শীতকালে সাধারণ লোকে যুগীয়ানা গিলাপ, আমোদ } মধ্যবিত্ত প্রবীণ ব্যক্তি বনাত, তরুণ বয়স্কগণ দোলাই এবং সম্রাস্তগণ শাল ব্যবহার করিতেন। দরবারে বা রাজদ্বারে যাইতে চাপকান, আচকান, লাটুদার পাগড়ী ও পায়ে নাগরা জুতা পরিতেন। সাধারণতঃ পুরুষের ধুতি হাটুর নীচে বড় নামত না । পুরুষের কপালে স্বীম ধৰ্ম্ম সম্প্রদায়ের বিধি মত তিলক দিতেন, নব্য বঙ্গের মত তাহ অসভ্যতার